গভীর রাতে আবারও গাছ কেটেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি, নাগরিকদের প্রতিবাদ

রাজধানীর ধানমন্ডির সাত মসজিদ সড়কে গাছ কাটার প্রতিবাদে আজ রোববার বিকেলে মানববন্ধনের আয়োজন করে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রিন ভয়েস
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর সাতমসজিদ সড়কে এখনো গভীর রাতে গাছ কাটছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতেও সেখানে গাছ কাটা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আজ রোববার বিকেলে মানববন্ধন করেছে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রিন ভয়েস। এতে পরিবেশ আন্দোলনে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।  

সড়কের সৌন্দর্য বাড়াতে গাছ কেটে নতুন করে সড়ক বিভাজক তৈরি করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ জন্য গত জানুয়ারি মাসেও ওই সড়কে গাছ কেটেছিল সংস্থাটি। তখন এ নিয়ে নানা মহলের সমালোচনার মুখে গাছ কাটা বন্ধ রাখা হয়।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, প্রচণ্ড গরমে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এরপরও সিটি করপোরেশন গাছ কেটে উন্নয়নকাজ করছে। পরিবেশ ধ্বংস করে এমন উন্নয়ন বন্ধ করার আহ্বান জানান তাঁরা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলছেন, গাছ কেটে সড়কের সৌন্দর্যবধন অমানবিক ও বিবেকবুদ্ধিহীন কাজ। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে প্রচণ্ড গরমের পরও সিটি করপোরেশন গাছ কেটে উন্নয়নকাজ করেছে। গাছ কেন কাটতে হবে? সড়ক বিভাজকে সৌন্দর্যবর্ধন করতে হলে গাছ রেখেই কীভাবে কাজটি করা যায়, সেই পথ সিটি করপোরেশনকে খুঁজে বের করতে হবে।

গাছ কাটার প্রতিবাদে রাত ১০টার দিকে আবারও সাতমসজিদ সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা।  

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্র বলছে, বিভিন্ন এলাকায় সড়কের সৌন্দর্যবর্ধনে ৯ কোটি ৬২ লাখ টাকার একটি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ধানমন্ডি এলাকার সাতমসজিদ সড়কেও সড়ক বিভাজকের উন্নয়নকাজ হচ্ছে। এই কাজ করতে গিয়ে সড়কে লাগানো পুরোনো গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে।

গাছ কাটার বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে এই অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটির নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীল কথা বলতে রাজি হননি। তবে দক্ষিণ সিটির প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, উন্নয়নকাজ শেষ হলে তাঁরা সেখানে উন্নত জাতের গাছ লাগিয়ে দেবেন। সড়কের দুই পাশের রাস্তা সমান করতে গিয়ে বিভাজকে থাকা গাছগুলো কাটতে হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।