বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বা মশার কয়েল থেকে আগুন লাগতে পারে: ফায়ার সার্ভিস

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পুড়ে যাওয়া টিনের চালা
ছবি: সাজিদ হোসেন

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের একটি মুদিদোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বা মশার কয়েল থেকে এই আগুন লাগতে পারে।

তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, তা তদন্ত শেষে বলা যাবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের সামনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তাজুল ইসলাম চৌধুরী এসব কথা বলেন।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার পর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট কাজ করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর বিশেষ দল। পরে আজ সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরও পড়ুন

সংবাদ ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আজ রাত ৩টা ৪৩ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস আগুন লাগার খবর পায়। ৩টা ৫২ মিনিটে মোহাম্মদপুর থেকে প্রথমে একটি ইউনিট আগুন নেভাতে অংশ নেয়। আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে একে একে ১৭টি ইউনিট এ কাজে যুক্ত হয়। পানি ছিটিয়ে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে মার্কেটের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। ফায়ার সার্ভিস এখন ভেতরের ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল সরানোর কাজ করছে।

আরও পড়ুন

তাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১৫০ কর্মী অংশ নিয়েছেন। তাঁদের সহযোগিতা করেছে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী এবং ঢাকা ওয়াসা।

মার্কেটের একটি মুদিদোকান থেকে এই আগুনের সূত্রপাত উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের এই পরিচালক বলেন, কীভাবে আগুন লেগেছে, তা তদন্ত শেষে বলা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বা মশার কয়েল থেকে এই আগুন লাগতে পারে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি, তবে আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকজন কর্মী সামান্য আহত হয়েছেন। মার্কেটের সামনে অনেক ভাসমান দোকান ও উৎসুক জনতার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, মার্কেটে প্রায় ১০০টি দোকান ছিল। এসব দোকানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে বলা যাবে। মার্কেটটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

তবে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের বেশ কয়েকজন দোকানি প্রথম আলোকে জানান, এই মার্কেটে ছোট–বড় মিলিয়ে প্রায় ৬০০ দোকান ছিল।

আরও পড়ুন