সূর্যোদয়ের পর রমনা বটমূলে মানুষের ভিড়, গানে গানে বর্ষবরণ

রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে শিল্পীদের পরিবেশনা। ঢাকা, ১৪ এপ্রিলছবি: জাহিদুল করিম

সূর্যোদয়ের পর থেকে রাজধানীর রমনা বটমূলে চলছে ছায়ানটের বর্ষবরণ ১৪৩২-এর অনুষ্ঠান। সময় যত গড়িয়েছে, ততই ভিড় বাড়তে দেখা গেছে অনুষ্ঠানস্থলে।

ভোর সোয়া ছয়টায় রমনা বটমূলে শিল্পী সুপ্রিয়া দাশের কণ্ঠে ভৈরবী রাগালাপের মাধ্যমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই বহু মানুষ বটমূলে উপস্থিত হয়।

রাগালাপের পর ‘নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’ সম্মেলক গান করেন ছায়ানটের শিল্পীরা। এরপর ‘তিমির দুয়ার খোলো’ একক গান পরিবেশন করেন শিল্পী দীপ্র নিশান্ত।

এভাবে একের পর এক রাগালাপ, গান আর আবৃত্তিতে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে বাংলা নববর্ষকে। সব দর্শনার্থী যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো এ আয়োজন উপভোগ করছেন। মঞ্চের সামনের বসার জায়গা মানুষে পূর্ণ। অনেকে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান দেখছেন। পার্কের ভেতরেও অনেক মানুষ রয়েছেন।

অনুষ্ঠানস্থলে কথা হলো রোকসানা আহমেদের সঙ্গে। তিনি থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। জানালেন, এবার দেশে থাকায় দীর্ঘ ২৫ বছর পর তিনি রমনা বটমূলে বর্ষবরণের আয়োজনে আসতে পেরেছেন। তাই উচ্ছ্বাসটাও বেশি।

রোকসানা বলেন, ‘প্রবাসী হওয়ার পর যখনই দেশে আসি, বৈশাখ পাই না। আড়াই যুগ পর এবার সেই সুযোগ হলো। সকালবেলা বটমূলের সামনে বসে অনুষ্ঠান দেখতে পেয়ে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করছে।’

এবার ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। রমনা বটমূল, ঢাকা, ১৪ এপ্রিল
ছবি: জাহিদুল করিম

রমনা বটমূলে আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে বৈশাখী সাজ দেখা গেছে। নারীদের বেশির ভাগ শাড়ি পরে এসেছেন। পুরুষদের পরনে পাঞ্জাবি বেশি। শাড়ি–পাঞ্জাবির রঙে লাল-সাদার আধিক্য। শিশু-কিশোরদের পোশাকেও লাল-সাদার প্রাধান্য দেখা গেছে।

এবার ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। আলো, প্রকৃতি, মানুষ ও দেশপ্রেমের গান দিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের অনুষ্ঠান।

বাংলা বর্ষবরণের এই আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলেও এই অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন