শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
ফাইল ছবি

রাজধানীর জুরাইনে গ্যাসলাইনের লিকেজ (ছিদ্র) থেকে বিস্ফোরণের আগুনে দগ্ধ মা–বাবার পর তাঁদের শিশুসন্তানও মারা গেছে।

মারা যাওয়া শিশুটির নাম আফসানা (৫)। আজ বুধবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।

আরও পড়ুন

ঢাকার জুরাইনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ

আফসানার মৃত্যুর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, শিশুটির শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

একই ঘটনায় এই ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ আগস্ট মারা যান শিশুটির মা মুক্তা খাতুন (৩০) ও বাবা আতহার আলী (৩৫)। মুক্তার শরীরের ৪৫ শতাংশ ও আতহারের শরীরের ৫৫ পুড়ে গিয়েছিল।

১৩ আগস্ট রাতে জুরাইনে গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এতে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন।

দগ্ধ হওয়া বাকি দুজন হলেন—আলতাফ সিকদার (৭০) ও তাঁর স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৫০)। তাঁরা মুক্তার মা–বাবা। আলতাফ-মর্জিনা দম্পতিকেও একই ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে প্রথম দিনই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আলতাফের শরীরের ২ শতাংশ ও মর্জিনার ৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন

জুরাইনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ নারীর মৃত্যু

আলতাফের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী। তিনি জুরাইনের মাদবর বাজারের সলিমুল্লাহ রোডের একটি বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকেন। বিস্ফোরণের ঘটনার এক সপ্তাহ আগে মেয়ে মুক্তা তাঁর পরিবার নিয়ে বাবার বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন।

আরও পড়ুন

জুরাইনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ স্ত্রীর পর স্বামীও মারা গেলেন