ধকল কাটানোর গল্প শোনালেন এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা

রাজধানীর একটি হোটেলে মঙ্গলবার ‘শেয়ার ইয়োর স্টোরিজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মহামারি ও অর্থনৈতিক মন্দার ফলে সৃষ্ট সমস্যাগুলো মোকাবিলার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা
ছবি: সংগৃহীত

একসঙ্গে বসে স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প শোনালেন অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘শেয়ার ইয়োর স্টোরিজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ছিল গল্প বলার এই আয়োজন।

সুইস ফাউন্ডেশন ফর টেকনিক্যাল কোঅপারেশনের (সুইস কনট্যাক্ট) কর্মসূচি বিল্ডিং স্কিল ফর আনএমপ্লয়েড অ্যান্ড আন্ডার এমপ্লয়েড লেবার (বি-স্কিলফুল) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সহযোগিতায় ছিল ট্রুভ্যালু এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কীভাবে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো মহামারি ও অর্থনৈতিক মন্দার ফলে সৃষ্ট সমস্যাগুলো মোকাবিলা করেছে, তা তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠানে। এ আয়োজনের মাধ্যমে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অভিজ্ঞতা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা সম্প্রসারণ সহযোগী প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ করে দেবে।

অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে দেশের ৪০ শতাংশের বেশি শ্রমশক্তির কর্মসংস্থান এবং জিডিপিতে ২৫ শতাংশের বেশি ভূমিকা রাখছে সেটা অনুধাবন করে সুইস কনট্যাক্ট ও ট্রুভ্যালুর সঙ্গে সুইজারল্যান্ড এ দেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে সহযোগিতার হাত বাড়ায়। টুভ্যালুর সঙ্গে অংশীদারত্বের মধ্য দিয়ে যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কখনো প্রচলিত ব্যাংক ব্যবস্থায় ঋণ পায়নি তাদের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থপ্রাপ্তির পথ সুগম করে।

অনুষ্ঠানে সুইস কনট্যাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে অনুন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। সেই সময় যত এগিয়ে আসছে ততই দেশের অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক খাত ও বেসরকারি খাতগুলো মধ্যে দ্রুত সমন্বয় করাটাও আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

করোনা মহামারির ধকল কাটাতে নিরলস সহযোগিতার মাধ্যমে দেশে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তি জোগানোর জন্য সুইস কনট্যাক্ট ও ঢাকায় সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ট্রুভ্যালু এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শারাওয়াত ইসলাম।  

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব কো-অপারেশন হেনডোজ পিগনানি। তিনি বলেন, এসএমই বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। ৪০ শতাংশেরই কর্মসংস্থান এ খাতে। তাদের ব্যবসায়িক সহনশীলতা এমনভাবে তৈরি যাতে এ অগ্রযাত্রায় কেউ বাদ না পড়ে।