হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে ঢামেকের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল
ফাইল ছবি

হাসপাতালের ইন্টার্ন (শিক্ষানবিশ) চিকিৎসক এ কে এম সাজ্জাদ হোসেনের ওপর হামলাকারীদের ৪৮ ঘণ্টায়ও আইনের আওতায় না আসায় কর্মবিরতি শুরু করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ (ইচিপ)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।

রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গত সোমবার রাতে মারধরের শিকার হন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক এ কে এম সাজ্জাদ হোসেন। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেছেন, হামলাকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগোসংবলিত টি-শার্ট পরা ছিলেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিয়েছেন। তবে তিনি তাঁদের কাউকে চিনতে পারেননি।

এ ঘটনার পর মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ-উল-আহসান এক প্রতিবাদলিপিতে বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে লাগাতার কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ।

ওই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনো অপরাধীদের কাউকে আইনের আওতায় আনতে পারেনি পুলিশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী পুলিশের সহযোগিতায় অপরাধীদের গ্রেপ্তারের আশা করছেন। আর শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেছেন, অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে৷

এমন পরিস্থিতিতে আজ দুপুর ১২টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা। ইচিপের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ-উল-আহসান আজ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘শিক্ষানবিশ চিকিৎসক এ কে এম সাজ্জাদ হোসেনের ওপর বর্বরোচিত হামলার ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো অপরাধী শনাক্ত না হওয়ায় এবং তাদের আইনের আওতায় আনতে না পারার প্রতিবাদস্বরূপ পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করবেন।’

মো. মহিউদ্দিন জিলানী প্রথম আলোকে বলেন, আমরা আজ দুপুর ১২টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছি। এ কর্মসূচির সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সব শিক্ষানবিশ চিকিৎসক একাত্ম রয়েছেন। যখনই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে, তখনই আমরা কাজে ফিরে যাব।

জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, অপরাধীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।