স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল
হাসপাতালে ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগ চালুতে পাশে থাকছে লতিফুর ও শাহনাজ রহমান ফাউন্ডেশন
দেশের প্রথম কোনো সরকারি হাসপাতাল হিসেবে ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগ চালু করতে যাচ্ছে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল। এই বিভাগের জন্য হাসপাতালে ১০টি কার্ডিয়াক অ্যান্ড আইসিইউ মনিটর দিয়ে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে ‘লতিফুর ও শাহনাজ রহমান ফাউন্ডেশন’। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাজহারুল ইসলাম খানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মনিটরগুলো তুলে দেওয়া হয়। এ সময় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মাজহারুল শাহীনসহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাজহারুল ইসলাম এ সময় ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগ চালুর প্রস্তুতি নিয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই বিভাগ চালুর ফলে সাধারণ মানুষ হাসপাতালে এসে ওয়ান–স্টপ সার্ভিস পাবেন। জরুরি বিভাগ থেকেও সব ধরনের সেবা নিয়ে ফিরতে পারবেন তাঁরা। এমনকি ধাপে ধাপে ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগে আইসিইউ বেড রাখার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
হাসপাতালটিতে এই সেবা শুরু করার জন্য অনেক ধরনের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে বলে জানান পরিচালক মাজহারুল ইসলাম খান। তিনি তথ্যচিত্রের সাহায্যে দেখান, কীভাবে জরুরি বিভাগের প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে দুই দশক ধরে এক স্থানে জড়ো করে রাখা স্ট্রেচারগুলো পর্যন্ত সরিয়ে জায়গা বের করতে হচ্ছে ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগ চালুর জন্য। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল তাদের এই বিভাগ চালুর প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছে। এখন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেই চালু হবে বিভাগটি।
লতিফুর ও শাহনাজ রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দেওয়া ১০টি কার্ডিয়াক অ্যান্ড আইসিইউ মনিটর রোগীদের সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসকেরা। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরাও এগুলোর মাধ্যমে উপকৃত হবেন বলে উল্লেখ করেন তারা। এ সময় লতিফুর ও শাহনাজ রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, পরিচালক বিনয় দাস এবং মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের এজিএম চিকিৎসক মো. মুরাদ হোসেন।
প্রয়াত লতিফুর রহমান ছিলেন প্রখ্যাত ব্যবসায়ী ও ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান। লতিফুর রহমান ও তাঁর সহধর্মিণী শাহনাজ রহমানের নামে ২০১৬ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত দরিদ্র রোগীদের সেবা দেওয়ার ব্রত নিয়ে লতিফুর ও শাহনাজ রহমান ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এই ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছেন ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান। এই ফাউন্ডেশন এখন পর্যন্ত ক্যানসারে আক্রান্ত প্রায় ২০০ রোগীর পাশে দাঁড়িয়েছে। এই প্রথম তারা ক্যানসার রোগীর পাশাপাশি হাসপাতালে সেবা সম্প্রসারণে সহযোগিতা শুরু করল।