খতনা করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা দুই শিশুর অবস্থার উন্নতি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালফাইল ছবি

শরীয়তপুর ও ময়মনসিংহে পৃথক ঘটনায় খতনা করার সময় পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা দুই শিশুর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তাদের মধ্যে এক শিশু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আরেকজন পাশের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা বলেছেন, তাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।

১৩ এপ্রিল শরীয়তপুরের পালংয়ে খতনা করার সময় আট বছরের এক শিশুর পুরুষাঙ্গের একাংশ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন স্থানীয় এক হাজাম (যিনি খতনা করেন)। ঘটনার পর তিনি ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ করে দিয়ে পালিয়ে যান। পরে শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শিশুটি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আশরাফ উল হকের অধীন চিকিৎসাধীন।

আজ শুক্রবার অধ্যাপক আশরাফ উল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিশুটি ভালো আছে। তার অবস্থা উন্নতির দিকে। তার পুরুষাঙ্গের একাংশ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। যদি পরিবারের লোকজন কেটে ফেলা অংশটুকু ছয় ঘণ্টার মধ্যে আমাদের কাছে নিয়ে আসতেন, তাহলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সংযুক্ত করার চেষ্টা চালানো যেত। কিন্তু তারা বিচ্ছিন্ন হওয়া পুরুষাঙ্গ নিয়ে আসেননি। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর শিশুটির রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হয়েছে।’

এদিকে ১৪ এপ্রিল ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ১১ বছর বয়সী শিশুকে খতনা করানোর সময় তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন মো. আকবর নামের এক হাজাম। গুরুতর অবস্থায় স্বজনেরা সেদিনই শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির অবস্থা ভালো আছে। তার ক্ষতিগ্রস্ত পুরুষাঙ্গে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এমনিতে শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের থেকে অনেকটাই ভালো।