অভ্যাগতরা বলেন, দেশের যেকোনো সংকটে মানুষের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বহু প্রতিষ্ঠান গড়েছেন মানুষের জন্য। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায়, হাতে ক্যানুলা পরে, কিডনির ডায়ালাইসিস থামিয়ে মানুষের দাবিদাওয়া নিয়ে ছুটে চলেছেন।
৮২ বছর বয়সী জাফরুল্লাহ চৌধুরী অশক্ত শরীরে সম্মাননা অনুষ্ঠানের মঞ্চে হুইলচেয়ারে বসে তাঁর গুণমুগ্ধদের কথা শুনেছেন। কখনো মৃদু হাসেন। কখনো মাথা নেড়ে দ্বিমত করেছেন। অভ্যাগত সবাই বলেন, সাদামাটা জীবন কাটিয়েছেন ‘জাফর ভাই’। সম্মাননার জমকালো অনুষ্ঠানেও সাদামাটাই ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আসেন লুঙ্গি পরে।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড করতে চেয়েছিলেন। মুজিব ভাইয়ের এ স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। মুজিব ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণ হলে এত মানুষ আত্মহত্যা করত না। কিশোরেরা খুনখারাবিতে জড়াত না। সবাই খেতে পারত। চাকরি না থাকলে ভাতা পেত।’
সমকাল ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান টাইমস মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের অনুপ্রেরণায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। সমকাল সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর হাতে সম্মাননার চেক তুলে দেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের প্রধান নির্বাহী তরুণ চক্রবর্তী।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানান এ কে আজাদ। সম্মাননা পদক তুলে দেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সম্মান জানাতে পেরে সবাই সম্মানিত হয়েছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, নারী অধিকারকর্মী হামিদা হোসেন, সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সাবেক সচিব ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহ্দীন মালিক, স্কয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ বিনায়ক সেন, সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, রামরুর চেয়ারপারসন তাসনীম সিদ্দিক, জাফরুল্লাহর ছোট বোন কবি আলেয়া চৌধুরী প্রমুখ।