‘তোরা মুরগি’, এ কথাতেই বাধল সিটি ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

রাজধানীর সিটি কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার দুপুরের দিকে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ এলে প্রায় এক ঘণ্টা পর এ সংঘর্ষ থেমে যায়।

দুই কলেজের সংঘর্ষের জেরে ওই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবেদন সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিক লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপ কমিশনার শহীদুল্লাহ বলেন, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায়ই নানা ঘটনা নিয়ে বাদানুবাদ হয়। আজ সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের ফটকে গিয়ে ‘তোরা মুরগি, সাহস থাকলে বের হ’ বলে চিৎকার করেন। এরপরই দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারি বেধে যায়।

পুলিশ, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে। এই শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও কলেজের শিক্ষকদের ধানমন্ডি থানায় ডেকেছে। পুলিশ বলছে, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ না থাকলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

ধানমন্ডি থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ইকরাম আলী মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, দুই কলেজের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই কলেজের সংঘর্ষের জেরে ওই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

এই ঘটনার প্রতিবেদন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা মেইলের প্রতিবেদক খলিলুর রহমান। তবে পুলিশ এ ঘটনা অস্বীকার করেছে। ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জেনেছেন।

খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ধানমন্ডিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সামনে কিছু শিক্ষার্থীকে তিনি দৌড়াদৌড়ি করতে দেখে তাঁদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। শিক্ষার্থীরা তাঁকে সংঘর্ষের কথা জানিয়ে বলেন, পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দিয়েছে। এ সময় ধানমন্ডি থানার পুলিশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে। এ আটকের ছবি তুলতে গেলে কর্তব্যরত পুলিশ তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং মুঠোফোন, পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তী সময়ে পিবিআইতে থাকা অন্য সাংবাদিকেরা খলিলুরকে উদ্ধার করেন।