রাজধানীতে নারীর লাশ উদ্ধার, চোখে ‘ধারালো অস্ত্রের’ আঘাতের চিহ্ন

লাশ
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে নার্গিস আক্তার (৩৪) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর গলায় নখের আঁচড় ও দুই চোখে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক নার্গিসের স্বামী রেজাউল হক।

নার্গিস রাজধানীতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। তাঁর স্বামী রেজাউল রিকশা চালান। মুগদার মধ্যপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন দুজন। ওই বাসা থেকেই আজ শনিবার দুপুরে নার্গিসের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনা তদন্তকারী মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, নার্গিস ও রেজাউলের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। তারা নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার পূর্ব শুলাটিয়ায় গ্রামের বাড়িতে রয়েছে। আজ সকালে তারা নার্গিসের মুঠোফোন বন্ধ পায়। ফোন বন্ধ পেয়ে তারা রাজধানীতে বসবাস করা এক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে ওই আত্মীয় নার্গিসের বাসায় গিয়ে বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগানো দেখতে পান। ডাকাডাকির পর কোনো সাড়া না পেয়ে বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানানো হয়। বাড়িওয়ালা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে নার্গিসের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তাঁর গলায় নখের আঁচড় ও দুই চোখে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।

নার্গিসকে হত্যা করে তাঁর স্বামী রেজাউল পালিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এসআই আজিজ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, কিছুদিন ধরে নার্গিস দুবাইয়ে যেতে তাঁর স্বামীকে রাজি করানোর চেষ্টা করছিলেন। তবে ব্যর্থ হন। পরে নার্গিস নিজেই দুবাইয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।