২৪ ঘণ্টায় বর্জ্য সরাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি

বর্জ্য অপসারণে কাজ করবেন এসব পরিচ্ছন্নতাকর্মী
ছবি: ডিএসসিসির সৌজন্যে

কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরানোর ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সংস্থাটি বলছে, বর্জ্য অপসারণে এবার মোট ৮ হাজার ৯৩০ জন কর্মী মাঠে কাজ করবেন। এ ছাড়া কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ-সংক্রান্ত তথ্য জানাতে বা জানতে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষও চালু করা হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির মুখপাত্র ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের প্রথম আলোকে বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য সরানো হবে। এ জন্য তাঁরা সব প্রস্তুতি নিয়েছেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি সূত্র জানায়, কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ-সংক্রান্ত তথ্য জানাতে বা জানতে একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বরগুলো হলো ০১৭০৯৯০০৮৮৮, ০২২২৯৯৮৬০১৪। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা দুইটা থেকে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সেবা চালু হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিউল্লাহ সিদ্দিক ভূইয়া আজ বুধবার বিকেলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের দিন বেলা দুইটা থেকে তাঁরা কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করবেন। এ ছাড়া পশুর হাটের বর্জ্য আজ রাত ১২টা থেকে অপসারণের কাজ শুরু হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্র বলছে, বর্জ্য অপসারণে করপোরেশনের নিজস্ব ৩৫৭টি যান ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে। কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের আরও ২৪টি ভারী যন্ত্রপাতি নিয়োজিত থাকবে।

বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য অপসারণে করপোরেশনের নিজস্ব ৫ হাজার ৩০০ কর্মী মাঠে কাজ করবেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়া ৭৫টি ওয়ার্ডে নিয়োজিত প্রাথমিক বর্জ্য সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার কর্মী, পশুর হাটে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত ৬৩০ জন শ্রমিকও বর্জ্য অপসারণের কাজ করবেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ শাখা থেকে বলা হয়েছে, পশুর হাটের বর্জ্য, কোরবানি করা পশুর বর্জ্য অপসারণ এবং রাস্তা পরিষ্কার করতে ৩২ হাজার ৫০০ লিটার জীবাণুনাশক ও ১ হাজার ৩০০ ড্রাম ব্লিচিং পাউডার প্রতিটি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।

সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে বর্জ্য অপসারণের জন্য বিনা মূল্যে ১ লাখ ৩০ হাজার চটের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি এলাকার বর্জ্য যাতে ঠিকমতো অপসারণ করা হয়, সেই তদারকি করতে স্থানীয় কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে তদারক দল গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এই দলের সদস্যরা উপস্থিত থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম তদারকি করবেন।