হিজাব পরায় ছাত্রীদের ক্লাস থেকে বের করার অভিযোগে শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত

হিজাব পরার কারণে ২২ ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি প্রতিষ্ঠানটির বসুন্ধরা ক্যাম্পাসের শিক্ষক।

আজ মঙ্গলবার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগমের সই করা নোটিশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে, অভিযুক্ত শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন।

নোটিশে বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা প্রভাতি শাখার ষষ্ঠ শ্রেণির একটি শ্রেণিকক্ষ থেকে ২২ জন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং অ্যাডহক কমিটির (অস্থায়ী কমিটি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

নোটিশে আরও বলা হয়, আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কেন তাঁকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এই কাজটা করিই নাই। আর এই ক্লাসে ২২ জন মেয়ে হিজাব পড়ে না। নয়জন বা ১১ জন পরে। আমি মেয়েদের বলেছি তোমরা হিজাব পড়ে স্কুলে আসবা।’ হিজাব কীভাবে পরতে হবে তার নিয়মও ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেছিলেন বলে জানান এই শিক্ষক।

সেদিনের ঘটনার প্রসঙ্গে দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক বলেন ‘আমি যখন ক্লাসে গেলাম, যেয়ে দেখি ভলান্টিয়ারেরা বাচ্চাদের চেক করছে, পোশাক ঠিক আছে কি না, নখ বড় কি না, চুল বাধা ঠিক আছে কি না। তখন আমি ওদের (ভলান্টিয়ার) বললাম, তোমরা সারা দিন কি করলা? বলে আপা আমরা সময় পাইনি। তখন বললাম, তাই বলে লাস্ট পিরিয়ডে চেক করবা? তা ঠিক আছে যাও, তোমাদের যা যা কাজ তোমরা বাইরে নিয়ে যাও এদের, বাইরে নিয়ে তোমাদের দায়িত্ব পালন কর, এটা বলছি, মেয়েদের বেরও করে দিইনি।’