মাইলস্টোনের নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা স্মারকলিপি দিতে না পারার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা

রাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা স্মারকলিপি দিতে না পারার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কৃর্তপক্ষ।

আজ সোমবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখ্যা দেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি দিতে চাওয়ার কথা জানান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কয়েকজন সদস্য। অধ্যক্ষ তা গ্রহণের সম্মতি জানান। ওই সময় স্কুল ও কলেজ শাখার শিক্ষা কার্যক্রম চলছিল। এ কারণে অভিভাবকদের অনুরোধ করা হয় প্রতিনিধির মাধ্যমে অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিতে। কিন্তু হতাহতদের পরিবারের তিন থেকে চারজন সদস্য কলেজের প্রধান ফটকে এসে নিয়মকানুন না মেনে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় কলেজ প্রাঙ্গণে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। তাঁরা একাডেমিক ভবনের নিচতলায় অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা ধস্তাধস্তি করে একটি সেমিনার কক্ষে প্রবেশ করেন। এই পরিস্থিতিতে সেমিনার কক্ষে এসে কলেজের একজন উপাধ্যক্ষ তাঁদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে তাঁরা স্মারকলিপি না দিয়েই বের হয়ে যান।

উল্লেখ্য, গতকাল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। সাড়ে ১২টার দিকে স্মারকলিপি দিতে সাংবাদিকদেরসহ স্কুলের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা। তখন ফটকের নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দেন। অভিভাবকেরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাংবাদিকসহ ভেতরে প্রবেশের অনুমতি চাইলে কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয়নি। একপর্যায়ে সাংবাদিকদের নিয়েই তাঁরা স্কুল ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে গেলে অভিভাবকদের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় সভাকক্ষে নিয়ে বসানো হয়। অভিভাবকদের মধ্যে চার-পাঁচজনকে অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে স্মারকলিপি দিতে বলে মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকেরা গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দেখা করতে চান। এ প্রস্তাবে স্কুল কর্তৃপক্ষ সায় দেয়নি। পরে অভিভাবকেরাও কনফারেন্স কক্ষ থেকে বেরিয়ে একাডেমিক ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে চলে যান।

বিজ্ঞপ্তিতে মাইলস্টোন কলেজ কর্তৃপক্ষ বলেছে, মাইলস্টোন কলেজের দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের আবাসিক হল রয়েছে। তাই সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার বিষয়টিও তাদের নজরে রাখতে হয়। সার্বিক বিবেচনায় অহেতুক জনসমাগম এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমন কার্যক্রম পরিহারের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পক্ষে। এ ক্ষেত্রেও সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন