বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়দের পদ থেকে সরে গেছেন শিক্ষার্থী নূর নবী। আন্দোলনের প্রাথমিক দাবি পূরণ হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এক পোস্টে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন নূর নবী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
নূর নবী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক হিসেবে শুরু থেকেই সব আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রাথমিক চাওয়াগুলো পূরণ হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমাদের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে শহীদেরা যে রক্ত দিয়েছেন, তা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। শহীদদের আত্মত্যাগে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশে যেকোনো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করব, ইনশা আল্লাহ।’
জানতে চাইলে নূর নবী প্রথম আলোকে বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন” নামে নতুন একটি প্ল্যাটফর্মে সব বিভাগের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে কাজ শুরু করবেন। এই প্ল্যাটফর্ম থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাজ করব।’
নূর নবী আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম করার কথা বলছেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতিমুক্ত করার দাবি করেছিলাম, তাই নিজে থেকে রাজনীতির বাইরে থাকার জন্যই আগে থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগ ইউনিটের ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুর রহিমকে মারধরের অভিযোগ ওঠে কোটা সংস্কার আন্দোলনের একদল শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য তারেক হাসানও মারধরের শিকার হন। ওই ঘটনায় নূর নবী জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরে গেলেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নূর নবী বলেন, ‘অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, সে ভিন্নভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছে। আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাজ করার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’