বংশাল প্রধান সড়ক এখনো পানির নিচে

বংশাল প্রধান সড়ক এখনো পানিতে তলিয়ে। ভোগান্তিতে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন। সকাল সাড়ে ৯টা
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে কয়েক ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে পানিতে তলিয়ে যায় বিভিন্ন এলাকার অনেক সড়ক। এর একটি পুরান ঢাকার বংশাল প্রধান সড়ক। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সড়ক পানির নিচে ছিল। অলিগলির কোথাও কোথাও জমে ছিল হাঁটুসমান পানি। ফলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ এখনো কাটেনি।

আজ সকালে বংশাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশে জমিয়ে রাখা ময়লা–আবর্জনা ও ড্রেনের ময়লা পানি মিলেমিশে একাকার। স্থানীয় মানুষদের এই নোংরা পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সড়কের পাশের নিচু দোকানগুলোর ভেতরও ঢুকে পড়েছে পানি।

শুক্রবার এই এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। ফলে দোকানপাট খোলেনি। তবে প্রতিদিনই খাবারের দোকানগুলো খোলা থাকে। আজ বৃষ্টির পানির কারণে সেগুলো খোলেনি।

রাজধানীর বংশাল এলাকায় প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে থাকায় স্থানীয়রা ভোগান্তিতে পড়েন
ছবি: প্রথম আলো

স্থানীয় বাসিন্দা শাখাওয়াত শামীম সকালে নাশতা কিনতে বের হয়েছিলেন। কোনো দোকান খোলা আছে কি না, তা খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থায় গুরুত্ব না দেওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বংশালের অলিগলির সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। তখনই বৃষ্টিতে হাঁটা যায় না। আর বৃষ্টি একটু দীর্ঘক্ষণ হলেই প্রধান সড়কের দুপাশে প্রতিনিয়ত পানি জমে যাচ্ছে। আর এই দুর্ভোগ বহু বছর ধরে আমরা দেখছি।

আরও পড়ুন

বংশাল এলাকার বাসিন্দা আহসান কবির ব্যক্তিগত কাজে বনানীতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আজিমপুর এলাকায় অফিস করে গতকাল (বৃহস্পতিবার) নানা দুর্ভোগ শেষে বংশালের বাড়িতে ঢোকার সময়ও সড়কে পানি দেখেছি। এখন বের হওয়ার সময়ও হাঁটুসমান পানি পেরিয়ে আসতে হয়েছে। ব্যক্তিগত কাজে একজনের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। আর এর মধ্যেই জামাকাপড় নষ্ট হয়ে গেছে। নোংরা পানি এড়ানোর জন্য কোনো রিকশা বা ছোট যানবাহনও ছিল না।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর টানা বৃষ্টিতে বংশাল প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়
ছবি: প্রথম আলো

প্রতিবেদনের জন্য ছবি তোলার সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই প্রতিবেদককে বলেন, বিভিন্ন সময় সড়কের উচ্চতা বাড়ানোর ফলে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রধান সড়ক থেকে কিছুটা নিচু হয়ে গেছে। তাই জলাবদ্ধতা হলে তাঁদের নানা দুর্ভোগে পড়তে হয়। সাধারণ মানুষদেরও এতে ভোগান্তি হয়।

আরও পড়ুন