মেয়র আসবেন, তাই মধ্যরাতে চলছে সড়ক মেরামত

তড়িঘড়ি করে মাঝরাতে ভাঙাচোরা সড়ক মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বুধবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ৩৩ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শন করবেন। তাই তড়িঘড়ি করে মাঝরাতে ওই এলাকার ভাঙাচোরা সড়ক মেরামতের কাজ করা হচ্ছে।

সংস্থাটির জনসংযোগ বিভাগ জানায়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার সকালে মেয়র আতিকুল ইসলামের ঢাকা উত্তর সিটির ৩৩ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনের কথা রয়েছে। কর্মসূচি শেষে রায়ের বাজার মিলনায়তনে স্থানীয় বাসিন্দা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন মেয়র।

মঙ্গলবার রাতে সরেজমিনে মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং এলাকায় দেখা যায়, ঢাকা উত্তর সিটির কর্মীরা তড়িঘড়ি করে সড়ক সংস্কারের কাজ করছেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদপুরের আলহাজ মকবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনের সাদেক খান সড়কে ঢাকা উত্তর সিটি একটি ডাম্প ট্রাক ও একটি রোড রোলার দিয়ে পিচঢালাইয়ের কাজ চলছিল। সড়কটিতে যত ভাঙাচোরা ও খানাখন্দ রয়েছে, সব জায়গায় বিটুমিন ও পিচঢালাই দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। পরে রাস্তা সমান করার রোলার চালিয়ে তা সমান করছেন একজন চালক।

আগামীকাল মেয়র এ পথ দিয়ে যাবেন। তাই মাঝরাতে চলছে সড়ক সংস্কারের কাজ। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

এভাবে মোহাম্মদপুরের মূল সড়ক থেকে শুরু করে যাফরাবাদ পুলপাড় পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়কের ২০ থেকে ২৫টি জায়গায় এভাবে মেরামত করা হয়েছে।

সিটি করপোরেশনের কর্মীরা যে সড়কটিতে কাজ করছেন, ওই সড়ক দিয়ে মূলত মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে রায়ের বাজার কমিউনিটি সেন্টারে যাওয়া যায়। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা জানান, মেয়র আতিকের রায়ের বাজারে সংস্কার করা বৈশাখী খেলার মাঠ হয়ে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলের কার্যালয় ও কমিউনিটি সেন্টারে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাস্তা মেরামতের কাজ করা একজন শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, এটা কোনো প্রকল্পের কাজ নয়। মেয়র কালকে এ পথ দিয়ে যাবেন। তাই জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে। উত্তর সিটি করপোরেশন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এ কাজ করাচ্ছে।

এদিকে স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন ডিএনসিসির কর্মীরা। যাফরাবাদ এলাকার ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সড়কে কোনো জিনিসপত্র রাখা যাবে না। সড়ক ও ফুটপাত পরিষ্কার ও দখলমুক্ত রাখতে হবে। মেয়র যদি কোনো অনিয়ম দেখেন, তাহলে তিনি মোবাইল কোর্ট বসিয়ে জরিমানা করে দিতে পারেন বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।