ঢাকার দুই সিটিতে স্কুলের মাঠ ও পার্কে ‘মেলাবাণিজ্য’

ঢাকার তিনটি মাঠ, একটি পার্কসহ পাঁচটি জায়গায় নিয়ম লঙ্ঘন করে চলছে মেলা। নেপথ্যে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা–কর্মী।

মিরপুর ন্যাশনাল বাংলা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে চলছে মেলা। গত বুধবার দুপুরেছবি: প্রথম আলো

কোনো স্কুলের খেলার মাঠ দখল করে ঈদমেলা বা বৈশাখী মেলা আয়োজনের কোনো সুযোগ নেই। একইভাবে মানুষের হাঁটাচলা বা বেড়ানোর জন্য পার্কেও কোনো মেলা করা যায় না। কিন্তু রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় এখন এ রকম পাঁচটি মেলা চলছে। এসব মেলা আয়োজনের নামে মূলত দোকান ভাড়া দিয়ে ঈদকেন্দ্রিক ‘বাণিজ্য’ করছেন ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা–কর্মী।

মিরপুর ২ নম্বরের মিরপুর ন্যাশনাল বাংলা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ঈদ ও বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে ‘বাংলাদেশ বুটিক এবং ক্ষুদ্রশিল্প’ নামের একটি সংগঠন। গত ৩০ মার্চ থেকে (১৯ রমজান) এই মেলা চলছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, স্থানীয় সংসদ সদস্য (ঢাকা–১৪ আসন) মাইনুল হোসেন খান সুপারিশ করায় মেলা আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে তারা।

এ ধরনের মেলা আয়োজনের পেছনে কোনো জনস্বার্থ নেই, আছে শুধু ভাগবাঁটোয়ারা।
ইকবাল হাবিব, স্থপতি

তবে কোনো সংসদ সদস্যের সুপারিশ থাকলেও স্কুলের মাঠে মেলা আয়োজন করা যায় না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২০২২ সালে মেলা আয়োজনসংক্রান্ত ১৩টি শর্ত উল্লেখ করে একটি পরিপত্র জারি করে। এতে স্পষ্টভাবে বলা আছে, ‘কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে মেলার আয়োজন করা যাবে না।’

সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খানের সুপারিশে মিরপুরের দারুস সালামে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি খেলার মাঠে আরেকটি মেলা চলছে। বেসরকারি একটি সংগঠনের নামে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তবে এই মেলা আয়োজনের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কিছু নেতা–কর্মী যুক্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও এই মেলার জন্য সিটি করপোরেশনের অনুমতি নেওয়া হয়নি। গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে এই মেলা চলছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতাধীন এলাকায় ঈদমেলা চলছে দুটি জায়গায়। এর একটি যাত্রাবাড়ী শেখ রাসেল পার্কে। অন্য মেলাটি চলছে শনির আখড়ার বাঁশপট্টিতে সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন খোলা জায়গায়। এই দুটি মেলার জন্যও সিটি করপোরেশনের অনুমতি নেওয়া হয়নি।

মিরপুরের স্কুলমাঠ ও দারুস সালামের খেলার মাঠের পাশাপাশি ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধানী শ্যামলী মাঠেও এখন মেলা চলছে। ১৭ মার্চ থেকে এই মেলা চলছে। শ্যামলী মাঠের মেলা আয়োজনে যুক্ত রয়েছেন আদাবর থানা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরিফুর রহমান।

অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতাধীন এলাকায় ঈদমেলা চলছে দুটি জায়গায়। এর একটি যাত্রাবাড়ী শেখ রাসেল পার্কে। অন্য মেলাটি চলছে শনির আখড়ার বাঁশপট্টিতে সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন খোলা জায়গায়। এই দুটি মেলার জন্যও সিটি করপোরেশনের অনুমতি নেওয়া হয়নি।

দুই সিটিতে এখন চলতে থাকা পাঁচটি মেলার আয়োজকদের মধ্যে নয়জনের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁদের বক্তব্য ঘুরেফিরে প্রায় একই রকমের। তাঁরা বলছেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশের কর্মকর্তারা মেলা আয়োজনের বিষয়টি জানেন।

তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ ও গণমাধ্যম বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কোনো কিছুর যদি অনুমতি দিতে হয়, সেটা ডিএমপি কমিশনার দিয়ে থাকেন। স্থানীয় পুলিশের কোনো কর্মকর্তার এ ধরনের অনুমতি দেওয়ার এখতিয়ার নেই।

সুপারিশে মাঠে মেলা

মেলার জন্য যাত্রাবাড়ী পার্কে সারি সারি দোকান বসানো হয়েছে। গতকাল দুপুরে
প্রথম আলো

বাঁশ পুঁতে ত্রিপলের ছাউনি দিয়ে অর্ধশতাধিক স্টল (দোকান) বানানো হয়েছে মিরপুর ন্যাশনাল বাংলা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। এসব দোকানে কাপড়, জুতা, গৃহস্থালি পণ্য ও খেলনাসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মাঠে বিভিন্ন ধরনের রাইড (খেলার উপকরণ) বসানো হয়েছে।

গত মঙ্গলবার দুপুরে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, দোকানগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা কম। দোকানিরা বলছেন, বিকেলের পর ক্রেতার ভিড় হয়।

এই মেলার আয়োজক বাংলাদেশ বুটিক এবং ক্ষুদ্রশিল্প নামের একটি সংগঠন। মেলার ব্যবস্থাপনায় রয়েছে রনো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন দাবি করেন, সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবার অনুমতি আছে তাঁদের।

মেলার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে মিরপুর ন্যাশনাল বাংলা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহম্মদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য (মাইনুল হোসেন খান) মেলার জন্য সুপারিশ করেছেন। আয়োজকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি মেলার অনুমোদন দিয়েছে।

কোনো কিছুর যদি অনুমতি দিতে হয়, সেটা ডিএমপি কমিশনার দিয়ে থাকেন। স্থানীয় পুলিশের কোনো কর্মকর্তার এ ধরনের অনুমতি দেওয়ার এখতিয়ার নেই।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ ও গণমাধ্যম বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেন

মেলায় দোকান বরাদ্দ নেওয়া একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তিনি বলেন, ৮০ বর্গফুট আয়তনের দোকানের জন্য তাঁকে ৪০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে আয়োজকদের। তিনি দুটি দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন ৮০ হাজার টাকায়। দোকান বরাদ্দ দিয়ে এই মেলা থেকে আয়োজকদের ২০ লাখ টাকা আয় হয়েছে। খরচ হতে পারে ১২ লাখ টাকার মতো।

স্কুলের মাঠে মেলা আয়োজনের অনুমতি দিতে সুপারিশ করার বিষয়ে ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খানের সঙ্গে মুঠোফোন গত বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার দুপুরে কয়েক দফা যোগাযোগ করে প্রথম আলো। তবে তিনি ফোন ধরেননি। পরে বিষয়টি উল্লেখ করে তাঁর মুঠোফোন নম্বরে দুবার খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি জবাব দেননি।

মিরপুরে দারুস সালাম মাঠেও মেলা চলছে। এই মাঠে মেলা আয়োজনের অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি বলে প্রথম আলোকে জানান উত্তর সিটির অঞ্চল-৪–এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আবেদ আলী।

যুবলীগের আরেক নেতা মেলা বসিয়েছেন শনির আখড়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জায়গায়। এই মেলার আয়োজক বি আর এস নেটওয়ার্ক নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এর মালিক ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৬২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল আহমেদ (বিপ্লব)।

যে মাঠে মেলা চলছে, তার পাশেই ঢাকা উত্তর সিটির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কার্যালয়। কাউন্সিলর মুজিব সরোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবন্ধীদের একটি সংগঠন মেলা করছে। সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান মেলার উদ্বোধন করেছেন। তিনি মেলা আয়োজনের সুপারিশও করেছেন।

সিটি করপোরেশনের অনুমতি ছাড়া মেলা আয়োজনের বিষয়ে কাউন্সিলর মুজিব সরোয়ার বলেন, ‘সবই তো বোঝেন।’

পার্কের জন্য ইজারা নিয়ে মেলা

 ১৮ কাঠা আয়তনের যাত্রাবাড়ী পার্কে (শহীদ শেখ রাসেল পার্ক) ক্যাফেটেরিয়া ও গণশৌচাগার বানিয়ে ইজারা দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এখন ইজারাদার পার্কের ভেতরে ‘ঈদবস্ত্র শিশু বিনোদন মেলা’ মেলা চালাচ্ছে। ২৮ মার্চ দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পার্কের ভেতরে অন্তত ৩০টি দোকান বসানো হয়েছে। একাধিক দোকানির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দোকানপ্রতি আয়তনভেদে ৪০ থেকে ৫০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন ইজারাদার।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি সূত্র জানায়, বছরে ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় পার্কটি ইজারা দেওয়া হয়েছে। জেসমিন আক্তার নামের এক নারী ইজারা নিয়েছেন। জেসমিন ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৫০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী।

পার্কের এক প্রান্তে ক্যাফেটেরিয়ার নিচে ইজারাদারের কার্যালয়। ২৮ মার্চ দুপুরে সেখানে গেলে কার্যালয়ে থাকা আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ইজারাদারের (জেসমিন) দেবর হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে এই মেলার আয়োজন করেছেন তাঁরা। মেলার জন্য সিটি করপোরেশন ও পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি আছে।

পার্কটি ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। স্থানীয় কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুস্থ নারীদের সহায়তায় জন্য মেলার আয়োজন করতে কয়েকজন আমার কাছে এসেছিলেন। আমি সুপারিশ করেছি। অনুমতি তো দেবে সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ।’

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী গত শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, মেলা চালুর পর দুবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এখনো মেলা চালু থাকলে আবার অভিযান চালানো হবে।

তবে গতকালও যাত্রাবাড়ী পার্কে মেলা চলছিল।

মেলার আয়োজক যুবলীগ নেতা

শ্যামলী খেলার মাঠে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাসব্যাপী পাট ও বস্ত্রমেলা চলছে। এ মেলা বসিয়েছেন আদাবর থানা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরিফুর রহমান। আর মেলার দায়িত্বে আছেন উত্তর সিটির ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ।

১৭ মার্চ থেকে এই মেলা চলছে। গত বুধবার শ্যামলী মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ত্রিপলের ছাউনি দিয়ে অর্ধশতাধিক দোকান বানানো হয়েছে। ক্রেতাদের যাতায়াতের জন্য মাঠে ইট বিছিয়ে রাস্তা বানানো হয়েছে।

মেলা আয়োজনের বিষয়ে যুবলীগ নেতা আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে, ভ্যাট-আয়কর জমা দিয়ে তাঁরা মেলা করেছেন। এ ধরনের মেলার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

যুবলীগের আরেক নেতা মেলা বসিয়েছেন শনির আখড়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জায়গায়। এই মেলার আয়োজক বি আর এস নেটওয়ার্ক নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এর মালিক ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৬২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল আহমেদ (বিপ্লব)।

২৮ মার্চ প্রথম আলোর এই প্রতিবেদক শনির আখড়ার মেলায় যান। বরাদ্দ পাওয়া দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় মেলার কার্যক্রম তদারকি দায়িত্বে রয়েছেন মিন্টু হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি। তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, যেখানে মেলা হচ্ছে, সেই জায়গা ঢাকা সিটি করপোরেশনের। তাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই মেলা করা হচ্ছে। যুবলীগ নেতা বিপ্লব (উজ্জ্বল আহমেদ) ভাইয়ের নামে মেলার অনুমতি নেওয়া হয়েছে।

মেলার নামে বাণিজ্য

ঢাকার দুই সিটিতে চলা পাঁচটি মেলার চারটিতে গড়ে ৭০টি দোকান বসানো হয়েছে। শুধু শনির আখড়ার মেলায় দোকানের সংখ্যা ৩০টির মতো।

পাঁচটি মেলায় বরাদ্দ নেওয়া দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একেকটি দোকানের আকার ৮০ বর্গফুট (প্রস্থ ৮ ফুট ও দৈর্ঘ্য ১০ ফুট) থেকে ১০০ বর্গফুট (প্রস্থ ১০ ফুট, দৈর্ঘ্য ১০ ফুট)। একেকটি স্টলের জন্য ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা দিতে হয়। আর একটি প্যাভিলিয়ন (চার থেকে ছয়টি দোকানের সমপরিমাণ জায়গা) বরাদ্দ নিলে খরচ পড়ে দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা। প্রতিটি মেলাতেই দোকানের বাইরেও শিশু–কিশোরদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইড আছে। সেগুলোর ক্ষেত্রে টিকিট বিক্রির টাকার ৪০ শতাংশ পান আয়োজকেরা। সে হিসাবে পাঁচটি মেলা থেকে এই রমজান মাসে আয়োজকেরা পাবেন প্রায় ৫০ লাখ টাকা।

খেলার মাঠ ও পার্ক নষ্ট করে মেলার নামে এ ধরনের বাণিজ্য বন্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন নাগরিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত স্থপতি ইকবাল হাবিব। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের মেলা আয়োজনের পেছনে কোনো জনস্বার্থ নেই, আছে শুধু ভাগবাঁটোয়ারা। শিশু–কিশোরদের খেলাধুলা ও মানুষের হাঁটাচলার জায়গা এমনিতেই ঢাকা শহরে প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। মাঠ, পার্ক বা যে কোনো গণপরিসরের নির্বিচার বাণিজ্যিকীকরণ কাম্য নয়। জনগণের করের টাকায় নির্মিত এসব গণপরিসর নির্ধারিত কাজে ব্যবহার নিশ্চিত করতে মেয়র–কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।