জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাণিক মুনসীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার চার সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, তদন্তের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য কমিটির সদস্যদের কাছে দাপ্তরিক চিঠি যাবে। কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মনিরুজ্জামান খন্দকারকে। অপর সদস্যরা হলেন অধ্যাপক নীল উৎপল সরকার, নীগার সুলতানা ও সহকারী প্রক্টর রেজাউল হোসাইন।

এর আগে গতকাল সোমবার মাণিক মুনসীকে বিভাগীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রী গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষে পড়েন। যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠায় বিভাগের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপাচার্যকে লিখিতভাবে জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি করল।

গণিত বিভাগের শিক্ষকেরা জানান, ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রথমে ওই শিক্ষকের কাছে কাউন্সেলিং ও বিভিন্ন পরামর্শের জন্য আসতেন। এই সুযোগে তিনি ছাত্রীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে বিয়ের কথা বলে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

উপাচার্যকে বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, অভিযুক্ত শিক্ষক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজ বিভাগের ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। ওই শিক্ষক তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে বলেও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে জানিয়েছিলেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, গত বুধবার অভিযুক্ত শিক্ষকের নিজ কক্ষে দরজা বন্ধ অবস্থায় ওই ছাত্রীর দীর্ঘ সময় অবস্থানের বিষয়টি বিভাগের অন্য এক শিক্ষকের নজরে আসে। ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই ছাত্রী বিয়ে করতে বললে অভিযুক্ত শিক্ষক আপত্তি জানান। পরে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।

আরও পড়ুন

ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জবি শিক্ষককে অব্যাহতি

এ বিষয়ে জানতে মাণিক মুনসীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অভিযোগের বিষয়ে গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি বিভাগের একাডেমিক সভায় প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ওই শিক্ষককে বিভাগের সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।