‘হলিডে মার্কেট’ চালুর দিনে বিক্রি প্রায় ৬ লাখ টাকা

রয়েছে ঘর সাজানোর বাহারি পণ্য

চালুর প্রথম দিনে ‘হলিডে মার্কেটে’ অংশ নেওয়া উদ্যোক্তাদের স্টলে প্রায় ৬ লাখ টাকার পণ্য বেচাবিক্রি হয়েছে। দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) উদ্যোক্তাদের পণ্য নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এই মার্কেট উদ্বোধন করা হয়েছিল।

আজ শনিবার বিকেলে বিক্রির এ তথ্য প্রথম আলোকে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মার্কেটে ১০০টি স্টল প্রস্তুত ছিল। নিবন্ধন করেছিলেন ৮০ জন এসএমই উদ্যোক্তা। প্রথম দিন ১৫ জন অংশ নেননি। শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতির ঘাটতি থাকায় ওই উদ্যোক্তারা অংশ নেননি বলে জানা গেছে।

ঢাকা উত্তর সিটি ও ঐক্য ফাউন্ডেশন যৌথভাবে মার্কেটটি পরিচালনা করছে। গতকাল একজন উদ্যোক্তা সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন। ওই উদ্যোক্তার নাম নিতাই সরকার। তিনি গৃহসজ্জার পণ্য প্রস্তুত করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম অর্থা।

এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে দুটি স্টলে। এর একটি পোশাক ও সাজসজ্জার। উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম (বেবী হ্যান্ডিক্রাফট)। আর অন্যটি রাসায়নিকমুক্ত খাদ্যপণ্যের। উদ্যোক্তা শায়লা আখন্দ (সতেজ)। এ ছাড়া তৃতীয় সর্বোচ্চ, ২৬ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে খাদ্য ও কৃষিপণ্যের প্রতিষ্ঠান সন্ধি বাজারের। এর উদ্যোক্তা উত্তরা দিয়াবাড়ীর জেসমিন আক্তার।

ঘর সাজানোর পাশাপাশি নিজেকে সাজানোরও উপকরণ রয়েছে।

জেসমিন আক্তার বলেন, ‘আমার পণ্যগুলোর মূল্য ৫০ টাকা থেকে শুরু। সেই বিবেচনায় এক দিনে ৩৫ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারাটা আমাদের জন্য মোটামুটি ভালো অঙ্কের।’ তিনি আরও বলেন, উদ্যোক্তা হিসেবে তাঁর এ ধরনের তিনটি আয়োজনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে। আগের দুটির চাইতে এখানে সাড়া ভালো পাচ্ছেন। আজকেও প্রায় এ রকমই বিক্রি হচ্ছে।

মার্কেটে স্টল নিয়ে আসা ৭ জন উদ্যোক্তার কোনো পণ্য বিক্রি হয়নি। বিক্রি না হওয়া স্টলগুলো ছিল গৃহসজ্জা, সাজসজ্জা, শাড়ি, পাটের পণ্য এবং মণিপুরি শাড়ির। এ ছাড়া একটি স্টল ছিল প্রদর্শনীর। স্টলে সুই-সুতার বুননে কাপড়ে ফুটিয়ে তোলা খ্যাতিমান মানুষদের ছবি প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছিল।

বিক্রির জন্য গতকাল শাড়ি সাজাচ্ছেন এক বিক্রেতা

মার্কেটে অংশ নেওয়া উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে আয়োজকেরা নিবন্ধন ফি বাবদ ৫ হাজার করে টাকা নিয়েছিলেন। আয়োজকেরা জানান, যেসব উদ্যোক্তাদের একটি টাকাও বিক্রি হয়নি তাঁদের নিবন্ধন ফি ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

অন্যদিকে ২০ হাজার টাকা থেকে ২৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে আটজন উদ্যোক্তার স্টলে। আর ১০ হাজার থেকে ১৯ হাজার টাকার বিক্রিও হয়েছে সমান সংখ্যক উদ্যোক্তার। বাকি উদ্যোক্তাদের এক হাজার থেকে ৮ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে।

দ্বিতীয় দিনের মতো আজও এই মার্কেট চলছে। মার্কেটটি প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। আয়োজকেরা জানান, ক্রেতাদের কেনা কোনো পণ্যে ত্রুটি থাকলে সেটি পরিবর্তন করে দেওয়া হবে। যদি ওই পণ্য স্টকে না থাকে, তাহলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিক্রি আশানুরূপ না হলে দুই দিনের জন্য নিবন্ধন ফি বাবদ নেওয়া টাকার কিছুটা ফেরত দেওয়া হবে।

আগামী সপ্তাহের পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, আগামী শুক্র ও শনিবার আরও উদ্যোক্তা পণ্য নিয়ে এই মার্কেটে আসবেন। ইতিমধ্যে মার্কেটে স্টলের জন্য ৫৫ জন উদ্যোক্তা নিবন্ধন করেছেন।