তরুণ কবিদের কণ্ঠে স্বরচিত কবিতা
বিজয়ের মাসে কবির কণ্ঠে কবিতাপাঠের আয়োজন করেছে প্রথমা প্রকাশন। এতে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন ১৫ জন তরুণ কবি। এর সঙ্গে সংগীত, শের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে আরও বেশি আনন্দময় হয়ে ওঠে পুরো অনুষ্ঠান। রোববার বিকেলে ‘আমার স্বরের ডালে’ শিরোনামে কবিতাপাঠের এই আসর হয় বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউস চত্বরে।
কবি নুসরাত নুসিনের সংকেতপ্রবণ কবিতা ‘উষ্ণ কীর্তন’ ছিল আসরের প্রথম কবিতাপাঠ। রাফসান গালিব শুনিয়ে যান ‘দুপুরের ছাদে’ আর ‘স্মৃতিঘনিষ্ঠ’ নামে দুটি কবিতা। কবি জুয়েল মোস্তাফিজ নিজের কবিতার ভেতর দিয়ে বললেন, ‘হত্যাকারী আমি তোমাকে ভালোবাসি’। স্নিগ্ধা বাউল পাঠ করলেন ‘আদিগন্ত কটাক্ষ’ আর ‘ন হন্যতে’ নামের দুটি কবিতা।
কবি আফরোজা সোমা কবিতা পাঠের আগে বললেন, কবিতা পড়ার এমন আয়োজন হলে তা–ও মাঝেমধ্যে কবি–সাহিত্যিকদের দেখা হওয়ার সুযোগ ঘটে। তিনি পড়ে শোনান ‘ভালো সে বাসতো যদি’ আর ‘আমাদের হিয়ার ভেতর আমরা যখন গান হয়ে যাই’ নামে দুটি কবিতা।
কবিতাপাঠের এ আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। তিনি বলেন, ‘কবি ও সাহিত্যের জগতে যাঁরা আছেন, তাঁরা যেমন সঙ্গ পছন্দ করেন, তেমনি সঙ্গ সমাজ এখনো দিতে পারছে না। খবরের কাগজ তরুণ–তরুণীদের জন্য কবিতাপাঠের আয়োজন করেছে, এমন অভিজ্ঞতা প্রথম হলো।’
আমাদের দেশটা কবিতার দেশ উল্লেখ করে আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, হঠাৎ এসে দুটি কবিতা লেখা সহজ কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে সেই চর্চা ধরে রাখাটা কঠিন। এ আসরের পাঠ শুনে মনে হয়েছে, এই লেখকেরা কবিতা লেখার অভ্যাস ধরে রাখবেন।
সৌম্য সালেকের ‘বীক্ষণ’ কবিতার সূত্রে জানা গেল মানুষের অবিরাম প্রহর কেটে যাওয়ার কথা। কবি বায়েজিদ বোস্তামী শোনান স্বরচিত ‘শের–ই বোস্তামী’ থেকে ‘জীবন তুমি, মরণও/ বাকিটা তামাশা মাত্র’। আহমেদ হাসান সানি গেয়ে শোনান ‘এ শহর আমাকে দেয়নি কিছুই শুধু তোমাকে ছাড়া’সহ দুটি গান। এ ছাড়া কবিতা পড়েন বিজয় আহমেদ, নাজিয়া আফরিন, হিজল জোবায়ের, হাসান রোবায়েত, রাসেল রায়হান, রওশন আরা মুক্তা, উপল বড়ুয়া, নর্মদা মিথুন।
অনুষ্ঠান শুরু হয় একরামুল হকের কণ্ঠে ‘অন্তর মম বিকশিত করো’ রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। কবিতাপাঠের এই আসর সঞ্চালনা করেন কবি আলতাফ শাহনেওয়াজ।
সবশেষে তিনি পাঠ করেন স্বরচিত কবিতা। বাংলা একাডেমিতে চলছে প্রথমা প্রকাশনের বিজয় বইমেলা। মেলার পাশেই সমকালীন কয়েকজন কবি এক জায়গায় হন কবিতা পড়ে শোনাতে।