বর্জ্যে ঠাসা প্যারিস খাল দেখে মেয়রের ক্ষোভ

ভরাট খালের ওপর দাঁড়িয়ে হ্যান্ডমাইকে খাল পরিষ্কারের ঘোষণা দেন মেয়র আতিকুল ইসলামছবি: সংগৃহীত

বছরের পর বছর নির্বিচার ফেলা ময়লায় প্যারিস খাল এখন অনেকটাই ভরাট। অনেকে খালের জায়গার ওপরই গড়ে তুলেছেন স্থাপনা। আজ বুধবার প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই খালের পার ধরে পুরোটা হেঁটে দেখেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। খালের এই দুর্দশা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে আগামী শুক্রবার খালটিকে আগের রূপে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দেন।

আজ মিরপুর–১১ নম্বরে এই খাল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে আড়াইটা পর্যন্ত ঘুরে দেখেন মেয়র।

সরেজমিন পরির্দশনের সময় মেয়র আতিকুল সাংবাদিকদের বলেন, আগামী শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্যারিস খাল পরিষ্কার অভিযান শুরু করবেন। তিনি নিজেও এই কার্যক্রমে থাকবেন। সিটি করপোরেশনের কর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের কর্মী ও এলাকাবাসীদের নিয়ে এই খাল পরিষ্কার করা হবে। ময়লা ও দখল থেকে মুক্ত করে মিরপুর প্যারিস খালকে আগের রূপে ফেরানো হবে।

ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র বলেন, প্যারিস খালটির প্রস্থ ৪০ ফুট হলেও কোনো কোনো জায়গায় ১৮ ফুট, ১৫ ফুট হয়ে গেছে। কোথাও আবার ১০ থেকে ১১ ফুট আছে। উচ্ছেদ করা ছাড়া এই খাল পুনরুদ্ধারের অন্য কোনো সমাধান নেই। খাল ভরাট করে যাঁরা স্থাপনা বানিয়ে বসবাস করেন, তাঁদের চলে যেতে হবে। খালটি ময়লা ও দখল থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান ও উচ্ছেদ চলমান থাকবে।

প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই খালের পার ধরে পুরোটা হেঁটে দেখেছেন আতিকুল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

‘উন্নত দেশে খাল সামনে রেখে বাড়ি নির্মাণ করা হয় আর আমাদের দেশের উল্টো চিত্র’—এমন মন্তব্য করে মেয়র আতিকুল বলেন, ‘আমাদের দেশে সবাই খাল পেছনে রেখে বাড়ি নির্মাণ করি। বাড়ির পেছনে খালকে ময়লার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করি। এই অবস্থা থেকে পরিবর্তন ঘটাতে হবে।’

খালটি পরিষ্কার করার পর তার পাড়ে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান মেয়র। তিনি বলেন, খালে ময়লা ফেললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দখলদারেরা নিজ দায়িত্বে স্থাপনা সরিয়ে নেবেন। তা না হলে যখন উচ্ছেদ অভিযান চলবে, তখন সময় দেওয়া হবে না।

পরিদর্শনকালে মেয়রের সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন রশিদ উপস্থিত ছিলেন।