এ সময়ে বিদ্যুৎ বাঁচাবেন কীভাবে

লোডশেডিং

চরম বিদ্যুৎ–সংকট মোকাবিলায় দেশজুড়ে লোডশেডিং শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার থেকে। আপাতত এক সপ্তাহে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

তবে অনেক ক্ষেত্রেই এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং শহরের তুলনায় বেশি হচ্ছে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) লিমিটেড রাজধানীতে বিদ্যুৎ বিতরণকারী দুটি সংস্থা। তারা গত মঙ্গলবার থেকেই ঢাকায় লোডশেডিং শুরু করেছে। কোন অঞ্চলে কখন লোডশেডিং হবে, তা আগেই জানিয়ে দিচ্ছে সংস্থা দুটি।

সরকারই বলেছে, লোডশেডিংয়ের এ অবস্থা আগামী সেপ্টেম্বর মাসের আগে বন্ধ হবে না। এ অবস্থায় কীভাবে এ সময়ে বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার করা যায়, তার জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে ডিপিডিসি ও ডেসকো।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারি সংস্থা ডেসকো যেসব পরামর্শ দিয়েছে সেগুলো হলো:

  • অফিসে এসির ব্যবহার সীমিত রাখা। এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার উপরে রাখা;

  • অপ্রয়োজনীয় বাতি ও ফ্যানের ব্যবহার থেকে বিরত থাকা;

  • দিনের বেলায় জানালার পর্দা সরিয়ে রাখা, সূর্যের আলো ব্যবহার করা;

  • কক্ষের বাইরে অবস্থানকালে ফ্যান, লাইট, এসি ইত্যাদি বন্ধ রাখা;

  • বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে এলইডি লাইটসহ স্মার্ট বৈদ্যুতিক সামগ্রী ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা;

  • নিজস্ব স্থাপনার রুফটপ সোলার সিস্টেমের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা।

ডিপিডিসি একাধিক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে।

  • ডিপিডিসির লোড চাহিদার একটি বড় অংশ এয়ারকুলাররে ব্যবহার হয়। তাই এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখা এবং কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় এসি বন্ধ হয়েছে কি না, নিশ্চিত করা দরকার। অফিস, দোকানপাট, বাসাবাড়ি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এসি ব্যবহার অপ্রয়োজনে বন্ধ রাখা এবং ব্যবহার অর্ধেকে কমিয়ে আনা।

  • বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি বাল্বসহ অন্যান্য সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার।

  • প্রিপেইড মিটার ব্যবহার।

  • প্রাকৃতিক আলো ব্যবহারই উত্তম। পরিমিত বিদ্যুৎ ব্যবহারে সঞ্চিত বিদ্যুতের ব্যবহার।

  • বাসাবাড়ির পরিবেশবান্ধব রুফটপ সোলারটিকে সচল রাখা এবং নেট মিটারিংয়ের মাধ্যমে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন।

  • নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার।

  • বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং ফিক্সচারগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার রাখা।

  • অপ্রয়োজনে লাইট, ফ্যান, এসি ইত্যাদি ব্যবহারে বিরত থাকা।

  • ফ্যানের জন্য সাধারণ রেগুলেটরের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করা।

  • গিজার থার্মোস্টেট সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখি।

  • নির্ধারিত লোডসীমার বেশি ওয়াশিং মেশিন ভর্তি না করে কাপড় পরিষ্কার করা। সার্ভিসের ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ এড়িয়ে চলা। বৈদ্যুতিক মোটরের সঙ্গে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা।