ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ব্যবহার নিয়ে ক্ষোভ–অসন্তোষ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ব্যবহার করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। দলীয় কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস বরাদ্দ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অপর দিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

আজ রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির দাবিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ প্রতিবাদ সমাবেশ করে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা এতে অংশ নেন। আর এই কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির একাধিক শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাস নিয়ে শহীদ মিনারের সমাবেশে অংশ নেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। তাঁরা বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ এভাবে দলীয় কাজে ব্যবহার নৈতিকতাবিরোধী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক বলেন, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে কোনো অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ক্ষতিগ্রস্ত হলে দায়ভার নেওয়ার জন্য কাউকে পাওয়া যাবে না। বাস বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে দায়িত্ব না এড়িয়ে প্রশাসনের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রলীগের তো নিজস্ব কোনো আয় নেই। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস নেওয়া হয়।

রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস নেওয়ার সুযোগ আছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, ‘আজকের সমাবেশ বিএনপি–জামায়াত থেকে দেশ রক্ষার। তাই এটি জাতীয় অনুষ্ঠান।’

বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের বাস শুধু তাঁদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য। কিন্তু অনেক দিন ধরে বাসগুলো ছাত্রলীগ দলীয় কর্মসূচিতে ব্যবহার করছে। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকারবঞ্চিত করছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখার প্রশাসক সিদ্ধার্থ ভৌমিক প্রথম আলোকে বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে পরিবহনসেবা দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে ছাত্রলীগকে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য পরিবহন–সুবিধা দেওয়া হয় মাঝেমধ্যে। তবে আজ অনুমতি না নিয়েই ছাত্রলীগ দুটি বাস নিয়েছে। বিষয়টি মাত্র জানতে পেরেছেন। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।