প্রেম-সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে মারধর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

প্রেম-সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জেরে এক সহপাঠীকে বেধড়ক মারধর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র। তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। এ ঘটনা নিয়ে শনিবার রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদদীন হলের মাঠ এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

 এর আগে সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের সামনে সহপাঠীদের হাতে বেদম পিটুনির শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জোবায়ের ইবনে হুমায়ুন। তিনি সম্প্রতি স্যার এএফ রহমান হলে উঠেছেন।

জোবায়েরকে স্টাম্প, লাঠি ও ইট দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ একই বর্ষের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী তবারক মিয়া, মনোবিজ্ঞান বিভাগের অর্ণব এবং টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিফরাত সাহিলের বিরুদ্ধে। তবারক ও সিফরাত জিয়াউর রহমান হলে আর অর্ণব হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে থাকেন।

 প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার রাত আটটার কিছুক্ষণ আগে জিয়াউর রহমান হলের সামনে হঠাৎ ১০-১৫ জন তরুণ এসে একজনকে (জোবায়ের) স্টাম্প ও লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। এ সময় ইট দিয়েও তাঁকে আঘাত করা হয়। পরে হামলাকারীরা চলে গেলে অন্য শিক্ষার্থীরা জোবায়েরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

মারামারির খবর পেয়ে জিয়াউর রহমান হল ও বিজয় একাত্তর হল থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে কবি জসীমউদদীন হলের মাঠ এলাকায় জড়ো হন বেশ কিছু শিক্ষার্থী। এ সময় ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য পরে অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।

 সহপাঠীদের মারধরের শিকার জোবায়ের বলেন, ‘অর্ণবের সঙ্গে আমার পূর্বের একটি ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল। এর জেরেই সে অন্যদের নিয়ে আমার ওপর হামলা করেছে।’

জোবায়েরের একজন সহপাঠী বলেছেন, এক তরুণীর সঙ্গে জোবায়ের প্রেমের সম্পর্কে আছে। ওই তরুণীকে নিয়ে তাঁর সঙ্গে হামলাকারী শিক্ষার্থীদের দ্বন্দ্ব ছিল। মূলত এ কারণেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। শিগগিরই হামলার বিচার চেয়ে জোবায়ের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেবেন বলেও জানান ওই সহপাঠী।

 তবে হামলার অভিযোগের বিষয়ে তবারক মিয়া, অর্ণব ও সিফরাত সাহিলের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্যার এএফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ কে এম সাইফুল ইসলাম খান বলেছেন, ওই শিক্ষার্থীকে (জোবায়ের) প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতে হলে আনা হয়। পরে তাঁর মা এসে তাঁকে নিয়ে যায়। মারধরের ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী।