মোহাম্মদপুরে নবাবী ভোজসহ তিনটি রেস্তোরাঁকে জরিমানা

নুরানি টাওয়ারের ছাদে ভবনের নকশা–বহির্ভূত একটি স্থাপনা নির্মাণাধীনছবি: সংগৃহীত

রেস্তোরাঁয় অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি রান্নাঘরটি বানানো হয়েছে অনুমোদিত নকশার বাইরে অবকাঠামো তৈরি করে। ছাদেও অতিরিক্ত একটি স্থাপনা নির্মাণাধীন। এসব অনিয়মের কারণে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ এলাকায় নুরানি টাওয়ার নামের একটি ভবনের মালিক এবং ওই ভবনের দোতলায় থাকা নবাবী ভোজ নামের একটি রেস্তোরাঁকে যৌথভাবে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযানে মোহাম্মদপুরে আরও দুটি রেস্তোরাঁকে দুই লাখ টাকা করে মোট চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রেস্তোরাঁ দুটি হচ্ছে কেএফসি ও দ্য মুঘল এম্পায়ার।

রাজউকের অঞ্চল-৩ (২) এর অথরাইজড কর্মকর্তা কায়সার পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ এলাকার তাজমহল সড়কে কেএফসিতে রেস্তোরাঁ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কোনো ছাড়পত্রই ছিল না। শুধু সিটি করপোরেশন থেকে নেওয়া ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই ব্যবসা করা হচ্ছিল। তারা ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছে, কিন্তু এখনো অনুমোদন পায়নি।

একই অবস্থা ওই ভবনে দ্য মুঘল এম্পায়ার নামের রেস্তোরাঁটিরও। তাদেরও শুধু ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। এর বাইরে ভবনের একপাশের চলাচলের যে সিঁড়ি, সেটার সঙ্গে ওই দুটি রেস্তোরাঁর কোনো সংযোগ নেই। এসব কারণে ওই দুটি রেস্তোরাঁকে দুই লাখ করে মোট চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এই কর্মকর্তা আরও জানান, নবাবী ভোজ ও নুরানি টাওয়ারের মালিককে অবৈধ অংশ (রান্নাঘর) অপসারণের জন্য এক সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে ছাদে অনুমোদন ছাড়াই যে অংশ বাড়ানো হচ্ছিল, সেটি ভেঙে ফেলাসহ বাকি কাজটি করার। আর কেএফসি ও মুঘল এম্পায়ার—এ দুটি প্রতিষ্ঠান সিঁড়ির পথ খুলে দেওয়ার অঙ্গীকার দিয়েছে।

রাজউকের অভিযান বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুরু করা হয়। অভিযান চলে বিকেল পর্যন্ত। অভিযান চালান রাজউকের অঞ্চল-৩–এর পরিচালক এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার।