উপাত্ত সুরক্ষা আইনে মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব হবে

প্রতীকী ছবি

উপাত্ত ও গোপনীয়তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়ায় নেই। এ ছাড়া আইনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থাকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আইনের এসব বিধি সমস্যা তৈরি করতে পারে। আইনটি যেভাবে রয়েছে, সেভাবে প্রণীত হলে মানুষ সুরক্ষিত বোধ করবেন না। তাঁদের মৌলিক অধিকার খর্ব হবে।

রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইআইডি) উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘প্রস্তাবিত উপাত্ত সুরক্ষা আইন: জনস্বার্থ ও মৌলিক অধিকার প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এ সভায় অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন বলেন, উপাত্তের সুরক্ষা দরকার। কিন্তু প্রকাশিত খসড়া অনুযায়ী আইনটি প্রণয়ন করা হলে অর্থনৈতিক, সামাজিক, আইনগত নতুন নতুন সমস্যা তৈরি হবে। মৌলিক অধিকার খর্ব করা হবে। কেউ কেউ বৈষম্যের শিকার হবেন। যাঁরা ক্ষমতাসীনদের বিপক্ষের বা সরকারের বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করেন, তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, ‘যতই নাম সুরক্ষা দেওয়া হোক, কেউ আসলে সুরক্ষিত বোধ করছি না।’ তিনি বলেন, এক বছর ধরে খসড়াটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। দেশে, দেশের বাইরে থেকেও মতামত এসেছে। কিন্তু খসড়াগুলোর যে পরিবর্তন হচ্ছে, তাতে এসব আলোচনার কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। যদিও সরকার বলছে, এটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নয়। কিন্তু আলোচনাগুলো যখন গ্রহণ করা হচ্ছে না, তখন ভয় থেকে যাচ্ছে। কারণ, আগেও কিন্তু নিবর্তনমূলক আইন ব্যবহার করা হয়েছে। আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে।

আইআইডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ বি এম হামিদুল মেজবাহ, ডিজিটাল রাইটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিরাজ আহমেদ চৌধুরী, ড. কামাল হোসেনস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের অ্যাসোসিয়েটস প্রিয়া আহসান চৌধুরী, আইনজীবী শাহজেব মাহবুব প্রমুখ।