সন্তান যেন বখাটের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করে, খেয়াল রাখবেন: ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপি পরিবারের মেধাবী সন্তানদের আজ ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি-২০২১’ প্রদান করা হয়
ছবি: ডিএমপি নিউজ

সন্তান চিকিৎসক বা ইঞ্জিনিয়ার হতে না পারলে কোনো মানসিক চাপ সৃষ্টি করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, ‘মেধা একসময় বিকশিত হবে। শুধু খেয়াল রাখতে হবে সন্তান যেন মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়, বখাটের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করে।’

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) পরিবারের মেধাবী সন্তানদের ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি-২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে অভিভাবকদের উদ্দেশে খন্দকার গোলাম ফারুক এসব কথা বলেন। ডিএমপি সদর দপ্তরে এসএসসি, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের এ বৃত্তি দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার পাশাপাশি ভালো মানুষ হতে হবে। মানবিক গুণাবলি অর্জন করতে হবে। নিজের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো মা–বাবা, ভাইবোন ও আত্মীয়-স্বজন। এ শিকড় কখনো ছিন্ন করা যাবে না। উচ্চশিক্ষিত ও সমাজের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে জনগণের সেবা করতে হবে উল্লেখ করে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ২ লাখ ১২ হাজার সদস্যের পরিবার। এখানে কেউ ভালো করলে সবাই প্রশংসিত হয়। আবার খারাপ করলে সবার গায়ে লাগে। এ জন্য বাহিনীর কোনো সদস্য যেন খারাপ কাজে জড়িয়ে না পড়েন, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

২০১৭ সাল থেকে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে পুলিশ পরিবারের মেধাবী ও কৃতী সন্তানদের লেখাপড়ায় আরও উদ্বুদ্ধ করতে এই বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। এ বছর ডিএমপিতে কর্মরত ২৭১ পুলিশ সদস্যের সন্তান বৃত্তি পেয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর আইজিপি ১৩৩ জনকে মেধাবৃত্তি দেন। বাকি ১৩৮ জনকে (এসএসসিতে ৭৯ ও এইচএসসিতে ৫৯ জন) আজ মেধাবৃত্তি দেন ডিএমপি কমিশনার।

অনুষ্ঠানে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) খন্দকার মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।