রাজধানীর আজিমপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সুলভ মূল্যে মাংস, ডিম, দুধ কিনতে এসেছেন জোসনা বেগম ও জেসমিন বেগম। লালবাগের শহীদনগর এলাকা থেকে আজ সকাল সোয়া সাতটায় এসে লাইনে দাঁড়ান তাঁরা।
মাংস দুধ ডিম নিয়ে ভ্রাম্যমাণ ভ্যান আসে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে। বিক্রি শুরু হয় সোয়া ১১টার দিকে। সবার প্রথম কেনেন জোছনা বেগম। বলেন, গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এসেছিলাম। কিন্তু লাইনে অনেক মানুষ ছিল। ফলে আমাদের সিরিয়াল আসতে আসতে সব শেষ হয়ে যায়। তাই আজ সোয়া সাতটায় এসেছি।
জেসমিন বেগমের তিন মেয়ে। একজন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। তাঁর স্বামী একটি কারখানায় কাজ করেন। তাঁর বাবা অসুস্থ। গৃহিণী জেসমিন বেগম বলেন, তাঁদের মতো মানুষের কাছে ১০ টাকা বাঁচলেও অনেক কিছু। এক কেজি গরু, এক কেজি মুরগি, দুই ডজন ডিম ও ২ লিটার দুধ ১ হাজার ২৩০ টাকা দিয়ে কেনেন জেসমিন বেগম। তিনি বলেন, কিছু নিজের কাছে ছিল এবং কিছু ধার করে এই জিনিসগুলো কিনলেন।
এই দুজনের মতো লালবাগের তাহমিনা আক্তারও গতকাল পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফেরেন। তাই আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এসেছেন তিনি।
আজিমপুরের এই ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে ১১০ কেজি গরু, খাসি ১৫ কেজি, ড্রেসড ব্রয়লার (চামড়া ছাড়া) ৪০ কেজি, ডিম ১৫০০টি এবং ১৫০ লিটার প্যাকেটজাত দুধ আনা হয়েছে। দেরির কারণ জানাতে গিয়ে ভ্যানের ক্যাশিয়ার সাইফুর রহমান বলেন, মালামাল তুলতে দেরি হয়েছে। তাই আসতেও একটু দেরি হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় ২৫টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানের মাধ্যমে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। এসব জায়গায় গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার ২৫০ টাকা, দুধ ৮০ টাকা লিটার ও ১২টি ডিম ১১০ টাকা রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া স্থায়ী পাঁচটি স্থানে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। সেখানে গরুর মাংসের দাম রাখা হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এই কার্যক্রম রমজানজুড়ে থাকবে।