জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে থাকবে পুলিশের পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাবলয়: ডিএমপি কমিশনার

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে আজ সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানছবি: ডিএমপির সৌজন্যে

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে আজ রোববার সকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজের জামাতসহ ঢাকা মহানগরের সব ঈদের জামাতের জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে।’

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তার জন্য আমাদের সাধারণ ইউনিফর্ম পুলিশ, প্যাট্রোলিং পুলিশ, চেকপোস্ট, ড্রোন প্যাট্রোলিং, সাইবার প্যাট্রোলিং, সিসিটিভি ক্যামেরা ইত্যাদি বিভিন্নভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এটি ছাড়া আমাদের সহায়তায় র‌্যাবের সদস্যরা থাকবেন। বিভিন্ন জায়গায় র‌্যাবের প্যাট্রোল থাকবে। আমরা আশা করি, আগামীকাল ঈদের জামাত সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’

পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাতটায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, কূটনৈতিক দলের সদস্যরা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করবেন। এ ছাড়া জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে  আলাদা পাঁচটি নামাজ আদায় করা হবে। যদি আবহাওয়া অনুকূলে না থাকে তাহলে এই জামাতও বায়তুল মোকাররমে স্থানান্তর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নগরবাসীকে নিয়ম মেনে পশু কোরবানি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ঢাকা মহানগরে ২৫ লাখের বেশি পশু কোরবানি দেওয়া হবে। এ জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে যে ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে, সেই নিয়ম যেন নগরবাসী মেনে চলে। চামড়া যাতে পাচার না হতে পারে সে ব্যাপারে সিটি করপোরেশন ও পুলিশ সদস্যরা যৌথভাবে কাজ করবেন। কোনো দালাল ফড়িয়া চক্র যাতে কোনো অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি না করতে পারে, সে জন্য পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। যেকোনো লোক সমস্যার সম্মুখীন হলে যেন পুলিশকে জানানো হয়।

বেপরোয়া গাড়ি না চালানোর আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঈদ ও ঈদ-পরবর্তী সময় ফাঁকা রাস্তা পেয়ে উঠতি বয়সের যুবক ও কিশোর বন্ধুরা মোটরসাইকেল ও কার রেসিংয়ে মেতে ওঠে। তারা যেন এই মরণ খেলায় মেতে ওঠে। যারা নিয়ম অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে এবার পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’