ঢাকা দক্ষিণ সিটির রাজস্ব আদায়ে রেকর্ড
সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে (২০২২-২৩) ১ হাজার ৩২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে রেকর্ড করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) সংস্থাটির রাজস্ব আয় ছিল ৮ শতাধিক কোটি এবং এর আগের অর্থবছরে ছিল প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে করপোরেশনের সর্বোচ্চ ফোরাম তথা বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই এ তথ্য জানানো হয়। পাশাপাশি সভায় চলতি অর্থবছরের জন্য ৬ হাজার ৭৫১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সিটি করপোরেশন সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় করে গৃহকর খাতে। এ ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স, বাজার সালামি, সম্পত্তি হস্তান্তর কর, ইজারাসহ ৩০টির বেশি খাত থেকে রাজস্ব আদায় হয়।
বোর্ড সভায় রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘রাজস্ব আদায়ে হাজার কোটি টাকা অতিক্রমের নতুন মাইলফলক সৃষ্টি হয়েছে। সিটি করপোরেশন একসময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খেত। পরিচালন ব্যয়ে ঘাটতি হতো। সবার কর্মপ্রচেষ্টায় সেই দৈন্য কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। আমরা আত্মনির্ভরশীল হয়েছি। এর মূল কারণই হলো আমাদের ওপর ঢাকাবাসীর আস্থা ও প্রত্যাশা বেড়েছে।’
বোর্ড সভায় করপোরেশনের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাদল সরদারকে ‘শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর’ হিসেবে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর হিসেবে বাদল সরদারকে ৫০ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়েছে।
এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-৫–এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, অঞ্চল-২–এর স্বাস্থ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান এবং সংস্থাপন শাখার অফিস সহায়ক মো. মোস্তফাকে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়।
এদিকে রাজস্ব আদায়ে রেকর্ড সৃষ্টি হলেও নাগরিক সেবার মান নিয়ে নগরের বাসিন্দাদের ক্ষোভ রয়েছে। তাঁদের ভাষ্য, রাজস্ব আদায়ে সিটি করপোরেশন যতটা জোর দিচ্ছে, সেবার মান বাড়াতে ততটা জোর দেওয়া হচ্ছে না।
ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, রাজস্ব আদায়ে যেমন রেকর্ড হয়েছে, তেমনি ডেঙ্গুতেও রেকর্ডসংখ্যক মানুষ মারা যাচ্ছে। রাজস্ব আয় বাড়লেও নাগরিক সেবার মান বাড়েনি। সিটি করপোরেশন খেলার মাঠকে পার্ক বানিয়ে ইজারা দিচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বেশির ভাগ রাস্তাঘাট ভাঙাচোরা, যানজটের অসহ্য যন্ত্রণা—সবই আছে। তাহলে নাগরিক সেবার মান তো আর বাড়ল না।