বঙ্গবন্ধু শোষিত মানুষের পক্ষে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন: দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানিরা ২৫ বছর ধরে হত্যার চেষ্টা করেও পারেনি। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে মাত্র তিন–চার বছরের মধ্যে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে কেন হত্যা করার প্রয়োজন হলো। কারণ, তিনি শোষিত মানুষের পক্ষে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। এর বিপক্ষে যে শক্তি ছিল, তারা তা মেনে নিতে চায়নি। তাই বঙ্গবন্ধুকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে তারা।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম ‘অশ্রুঝরা আগস্টে শোকসঞ্জাত শক্তির অন্বেষা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মুছে ফেলে দেশকে দ্বিতীয় পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরা। বৈশ্বিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে পুঁজি করে তারা আবারও অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিদ্যুৎ–সংকট সামনে রেখে জনগণের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে।

বহির্বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশ এখনো অনেক এগিয়ে আছে উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, রাস্তায় হারিকেন নিয়ে কেউ নামলে দেশ শ্রীলঙ্কা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের আগে দেশের মানুষ প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ পেয়েছেন কি না মনে করতে পারবেন না। কিন্তু মানুষ এখন ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন।

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মীজানুর রহমান সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলামিস্ট ও সিনিয়র সাংবাদিক বিভু রঞ্জন সরকার। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, জাতীয় কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর বলেন, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহসভাপতি অধ্যাপক রশিদ আসকারী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শামিমা বেগম, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেন প্রমুখ।