আগামীকাল যমুনার উদ্দেশে লংমার্চ করবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
আবাসন ভাতা, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনসহ তিন দফা দাবিতে আগামীকাল বুধবার বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে লংমার্চ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর আগে আজ দুপুরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে যান। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
তিন দফা দাবি হলো—
১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, এখানকার শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার। কোনো আবাসনসুবিধা নেই। খাওয়াদাওয়ার ব্যাপক কষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে যেখানে গবেষণা, পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা, সেখানে মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য টিউশন করতে করতে পড়াশোনার সময় শেষ হয়ে যায়। তাই ন্যায্য অধিকার আদায়ে আগামীকাল বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার অভিমুখে লংমার্চ হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০ বছর, কিন্তু ন্যূনতম মৌলিক চাহিদাটা পূরণ করা হয়নি। মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে পদক্ষেপ নেয়নি। বারবার প্রহসন করেছে। এখন একমাত্র বিশ্বাসের জায়গা প্রধান উপদেষ্টা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা যমুনাতে অবস্থান নেবেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব প্রথম আলোকে বলেন, অধিকার আদায়ে যমুনাতেই ফয়সালা হবে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলমান থাকবে।