শাহজাহানপুরে একটি বাসায় দুই দফা বিস্ফোরণে ৭ জন দগ্ধ

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটফাইল ছবি

রাজধানীর শাহজাহানপুরে ঝিল মসজিদ এলাকার একটি বাড়ির নিচতলায় দুই দফা বিস্ফোরণে সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে ছয়জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যজন একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

দগ্ধ ব্যক্তি ও তাঁদের স্বজনেরা জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে একবার এবং সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আরেকবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রান্নাঘরে গ্যাসের লিকেজ ছিল। মেরামতের সময় আগুন ধরালে লিকেজ থেকে জমা গ্যাস বিস্ফোরণ হয়ে দুজন দগ্ধ হন। তাঁদের সকালেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সন্ধ্যায় গ্যাসের লাইন মেরামতের জন্য মিস্ত্রিকে ডেকে আনা হয়। লাইন ঠিক করার সময় আরেক দফা বিস্ফোরণে আরও পাঁচজন দগ্ধ হন।

দগ্ধ মিন্টু হাওলাদারের স্ত্রী ঝরনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচতলা বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী মিন্টু হাওলাদার। তাঁরা থাকেন নিচতলায়। সেখানে শৌচাগার ও রান্নাঘরে বিভিন্ন সময় গ্যাসের গন্ধ পেতেন তাঁরা। সকালে এক প্রতিবেশীকে নিয়ে নিজেই গ্যাসের লিকেজ মেরামত করার চেষ্টা করেন মিন্টু। এ সময় বিস্ফোরণে দুজন দগ্ধ হন। সন্ধ্যায় দুজন স্যানিটারি মিস্ত্রি এনে মেরামতের সময় আবারও বিস্ফোরণ ঘটে।

সকালে দগ্ধ হওয়া দুজন হলেন মিন্টু হাওলাদার (৫০) ও প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়া (৪৫)। সন্ধ্যায় দগ্ধ হন মিন্টুর মেয়ে মারিয়া ইশরাত (১৮), স্যানিটারি মিস্ত্রি মনির হোসেন (৪১), মো. হোসেন (৫০) ও দুই প্রতিবেশী। এর মধ্যে একজন হলেন আকবর আলী (৪৫)। যাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি ৬ জনের মধ্যে মিন্টুর শরীরের ৪০ শতাংশ, তাঁর মেয়ে মারিয়ার ৩ শতাংশ, বাচ্চুর ৬ শতাংশ, আকবর আলীর ২২ শতাংশ, দেলোয়ারের ৮ শতাংশ এবং মনির হোসেনের ১ শতাংশ পুড়ে গেছে।

শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজিত কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, সকালে রান্নাঘরে গ্যাসের গন্ধ পাওয়ার পর একজন প্রতিবেশীকে নিয়ে আসেন ওই বাসার গৃহকর্তা (মিন্টু হাওলাদার)। গ্যাসের লাইন লিকেজ আছে কি না, সেটি আগুন ধরিয়ে পরীক্ষা করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দুজন দগ্ধ হন। এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় মিস্ত্রিকে ডেকে আনা হয়। মিস্ত্রিও আগুন ধরিয়ে পরীক্ষা করতে যান। এ সময় আবার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আরও পাঁচজন দগ্ধ হন।