উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তামারা হাসান আবেদ বলেন, ‘ব্র্যাক হেলথকেয়ার একটি সামাজিক উদ্যোগ। এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে রোগীর প্রাপ্য সেবাটুকু নিশ্চিত করা। আমাদের লক্ষ্য, দেশব্যাপী এমন কিছু আউটপেশেন্ট ক্লিনিক গড়ে তোলা, যা স্বাস্থ্যসেবার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত ও নির্ভরযোগ্য নাম হয়ে উঠবে।’
তামারা হাসান আবেদ আরও বলেন, ‘হেলথকেয়ার সেন্টারে স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সর্বোচ্চ মানের সেবা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিতে মানুষকে যে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা টানতে হয়, সেই বোঝা লাঘব করাও আমাদের অন্যতম একটি লক্ষ্য।’ ভবিষ্যতে নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা পূরণে এরকম আরও ক্লিনিক গড়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি।
ব্র্যাকের এই হেলথকেয়ার সেন্টারে একটি আউটপেশেন্ট ক্লিনিকে সব স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে। হেলথকেয়ার সেন্টারে রয়েছে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রামসহ নানা ইমেজিং টেকনোলজির সুবিধা। এ ছাড়া রয়েছে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য উন্নতমানের ল্যাবরেটরি।
হেলথকেয়ার সেন্টারে প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্টদের নিয়ে সরকার নিবন্ধিত একটি মডেল ফার্মেসি রয়েছে। এ ছাড়া নিয়মিত ডেন্টাল চেকআপ, টিথ ক্লিনিং, কসমেটিক ফিলিং, টুথ এক্সট্র্যাকশনসহ নানা সেবার ব্যবস্থা রয়েছে। ফিজিওথেরাপি, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত পরামর্শও দেওয়া হবে এই সেন্টারে।
আগামীকাল শুক্রবার থেকে এই হেলথকেয়ার সেন্টারের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া শুরু হবে। খোলা থাকবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। সরাসরি সেন্টারে গিয়ে অথবা ব্র্যাক হেলথকেয়ার সেন্টারের হটলাইন নম্বরে (+৮৮০৯৬৭৮১৯১৯১১) যোগাযোগ করে অগ্রিম অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে সেবা নেওয়া যাবে।
ব্র্যাকের কর্মকর্তারা জানান, ভবিষ্যতে ঢাকায় আরও কয়েকটি সেন্টার চালুর পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও শাখা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ব্র্যাকের। ওয়েবসাইটে ব্র্যাক হেলথকেয়ার ও এর সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্, পিপল, কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশনসের ঊর্ধ্বতন পরিচালক মৌটুসী কবীর, ঊর্ধ্বতন পরিচালক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, সিএফও তুষার ভৌমিক, হেলথ এন্টারপ্রাইজের প্রধান তৌফিক হাসান সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।