ওয়েবিনারে বক্তারা: খাদ্যে প্রিজারভেটিভের ব্যবহার নানা রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, বিশেষ করে মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট ও লবণ গ্রহণের কারণে দেশের মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি ও মৃত্যু বাড়ছে। দেশে খাদ্যে বিভিন্ন প্রিজারভেটিভ (সংরক্ষক) ব্যবহার করা হয়। এর ফলেও উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপের মতো বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমানো সম্ভব।
বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার আয়োজিত ‘খাদ্যাভ্যাস ও উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা। গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এর আয়োজন করে। সহযোগিতায় ছিল গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘উন্নত জীবন ও উন্নত ভবিষ্যতের জন্য খাদ্যের অধিকার’।
ওয়েবিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলেন, প্রক্রিয়াজাত খাবারে অতিরিক্ত লবণ ও ট্রান্সফ্যাট থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এসব খাদ্য গ্রহণে সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি) মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, ‘আমাদের দেশে খাদ্যে বিভিন্ন প্রিজারভেটিভ (সংরক্ষক) ব্যবহার করা হয়, যা উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে বিএফএসএসহ বিভিন্ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ ও পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম বাড়াতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস বলেন, উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ে নীতি পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যাপক প্রচারণা প্রয়োজন।
ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং কর্মসূচির ম্যানেজার ডা. মধুরা চৌধুরী, বাংলাদেশ ফার্স্ট পত্রিকার ডেপুটি এডিটর মোর্শেদ নোমান এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন প্রজ্ঞার কো–অর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ এই ওয়েবিনারে অংশ নেন।