হাতিরপুলের রাজ কমপ্লেক্সের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ৬-৭ জনকে উদ্ধার

ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজারের কাছে রাজ কমপ্লেক্স নামের ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে আগুনে কেউ হতাহত হননি। ওই ভবনে আটকে পড়া ছয়–সাতজনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। সেখানে একটি কার্পেটের গুদাম ছিল। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো তলায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

এটি আগুন নাকি নাশকতা, তা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ভবনের মালিকদের একজন।

ওই ভবনের ছয়তলায় থাকে একটি পরিবার। তাঁদের ভাষ্য, তাঁরা ইফতার প্রস্তুত করছিলেন। এমন সময় হঠাৎ আগুনের ধোঁয়া দেখতে পান। পরে তাঁরা ভবনের ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাঁদের উদ্ধার করেন।

বাসিন্দারা আরও জানান, ভবনটির চারজন মালিক। ভবনের সামনের অংশ বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। আর পেছনের অংশে থাকতেন মালিকদের কেউ কেউ। সম্প্রতি মালিকদের একজন তাঁর অংশ একটি টেইলারিং কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই কোম্পানি পুরো ভবন কিনে দিতে অন্য মালিকদের চাপ দিচ্ছিল বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।

ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। সেখানে একটি কার্পেটের গুদাম ছিল।
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

ভবনের মালিকদের একজন খুকু মনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ওই কোম্পানি আমার অংশ কিনে নিতে ৬০ লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়েছে। আমি রাজি হইনি।’ এটি আগুন নাকি নাশকতা, সেটা তদন্ত করে দেখার দাবি জানান তিনি।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আগুনে কেউ হতাহত হননি। ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লেগেছিল। সেখানে কার্পেট ও রাবার ভরপুর ছিল। সেখানে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা না থাকায় দুই পাশ ভেঙে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভেতরে প্রবেশ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আনোয়ারুল হক বলেন, আগুনে কত টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, ভবনটি আবাসিক নাকি বাণিজ্যিক, অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা ছিল কি না; এগুলো তদন্তের পর বলা যাবে।