খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণ রাতে আতশবাজি ফাটাতে গিয়ে ৪ জন দগ্ধ

ঢাকার বাসাবাড়ির ছাদ থেকে এভাবে আতশবাজি ফাটিয়ে বর্ষবরণ করেন নগরবাসীফাইল ছবি

খ্রিষ্টীয় নতুন বর্ষবরণ রাতে আতশবাজি ফাটাতে গিয়ে ও ফানুস ওড়াতে গিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দুই শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন সেন্টু মিয়া (৪৫), সম্রাট (২০), তাফসির (৩) ও সিফান মল্লিক (১২)।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণ রাতে আতশবাজি ফাটাতে ও ফানুস ওড়াতে গিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দুই শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়ে এই হাসপাতালে এসেছিল। তাঁরা সামান্য দগ্ধ হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, হাসপাতাল থেকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যাওয়ায় ঘটনার স্থান ও বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।

ঘড়িতে রাত ১২টা বাজতেই রঙিন হয়ে ওঠে ঢাকার আকাশ। পটকা ও আতশবাজির শব্দে একাকার হয় পুরো নগরী। ঢাকার বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে ছোট-বড় সবাই মিলে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে বরণ করে নিতে উল্লাসে মেতে ওঠেন।

এবার থার্টি ফার্স্ট নাইট ও খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৫ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকায় যেকোনো ধরনের আতশবাজি, পটকা ফাটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অনুমতি ছাড়া উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, নাচ, গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র‍্যালি ও শোভাযাত্রার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।