রাস্তা থেকে পানি সরাতে কাজ করছেন সিটি করপোরেশনের ৬ হাজার কর্মী
ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত হওয়া বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে রাজধানীর অনেক সড়ক ও এলাকা। এসব সড়ক থেকে পানি সরাতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৬ হাজার কর্মী কাজ করছেন। তবে বেলা সোয়া তিনটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজধানীর অনেক সড়কে পানি জমে ছিল।
সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তায় মানুষের চাপ কম। এমন পরিস্থিতিতেও যাঁরা ঘর থেকে বেরিয়েছেন, তাঁদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে।
এমন পরিস্থিতিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, রাস্তা থেকে পানি সরাতে সকাল থেকেই কাজ চলছে। ঢাকা উত্তর সিটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন পাঁচ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী। এ ছাড়াও সংস্থাটির ১০টি অঞ্চলে কাজ করছে ১০টি কুইক রেসপন্স টিম। প্রতিটি কুইক রেসপন্স টিমে ১০ জন কর্মী রয়েছেন। ইতিমধ্যে প্রধান প্রধান সড়কে থেকে পানিনিষ্কাশন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
অতিবৃষ্টির কারণে সড়ক থেকে পানি সরাতে কিছু সময় লাগছে উল্লেখ করে ঢাকা উত্তর সিটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের জন্য কল্যাণপুরে ঢাকা উত্তর সিটির পাঁচটি পাম্প সকাল থেকে একযোগে চালু রাখা হয়েছে। এ ছাড়া এখনো যেসব অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা যাচ্ছে কুইক রেসপন্স টিম পাঠিয়ে সেসব অঞ্চলের ড্রেন পরিষ্কার করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
কোথাও কোনো পানি জমে থাকলে ঢাকা উত্তর সিটির হটলাইন ১৬১০৬ নম্বরে ফোন করে জানাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে জলাবদ্ধাত নিরসনের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও প্রকৌশলী বিভাগের সমন্বয়ে ১০০টি টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই সংস্থা গঠিত প্রতিটি টিমে ১০ জন করে রয়েছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়েছে, কমলাপুর টিটি পাড়া পাম্প স্টেশনে পাঁচ কিউসেক ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি বড় পাম্প এবং পাঁচ কিউসেক ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি ছোট পাম্প চালু রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ধোলাইখাল পাম্প স্টেশনে সাত দশমিক পাঁচ কিউসেক ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি পাম্পও চালু রাখা হয়েছে। অর্থাৎ বড় চারটি ও ছোট তিনটি পাম্প মিলিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ২৫ হাজার ৪২৫ লিটার পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে।