ঢাকায় তীব্র গরমের মধ্যে অসুস্থ হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু

লাশ
প্রতীকী ছবি

ঢাকার গুলিস্তানে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেলে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের ধারণা, তীব্র গরমে ‘হিটস্ট্রোক’ করে মারা গেছেন তাঁরা।

পুলিশ বলছে, প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া এলাকায় বজলুর রহমান (৫০) নামের ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির এক কমিউনিটি পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। এ ছাড়া পীর ইয়ামিন মার্কেটের মসজিদে নামাজরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মিজানুর রহমান (৬০) নামের এক মুসল্লি মারা গেছেন।

এর আগে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গরমের মধ্যে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন কারওয়ান বাজারের মাংস বিক্রেতা মো. সেলিম (৫৫)। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কমিউনিটি পুলিশ সদস্য বজলুর রহমান বিকেলে ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালে ইমাদ পরিবহনের কাউন্টারের সামনে কাজ করছিলেন। হঠাৎ মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে অচেতন হয়ে যান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা বজলুরের সহকর্মী কমিউনিটি পুলিশ সদস্য রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, দায়িত্ব পালনকালে প্রচণ্ড গরমে বজলুর হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যান।

বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ জালাল বলেন, প্রচণ্ড গরমে বজলুর ‘হিটস্ট্রোক’ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। বজলুর রহমান সদরঘাট এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।

এদিকে গুলিস্তানের পীর ইয়ামিন মার্কেটের মসজিদে নামাজ আদায়ের সময় মিজানুর রহমান পড়ে যান। অচেতন অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ব্যক্তির বোনের স্বামী আবদুল মালেক বলেন, আসরের নামাজের আগে তিনি খারাপ লাগছিল বলছিলেন। এ অবস্থায় তিনি নামাজ পড়তে যান। নামাজরত অবস্থায় তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।

আবদুল মালেক জানান, মিজানুর রহমান আগে সিলেটে পাথরের ব্যবসা করতেন। বর্তমানে পুরানা পল্টনে থাকতেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতে থাকেন। তাঁর বাবার নাম আবদুল গনি মুন্সি। তিনি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আনাইসকোটা গ্রামের মৃত আবদুল গনি মুন্সির ছেলে।