চিত্রনায়িকা পরীমনির মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে

চিত্রনায়িকা পরীমনি
ছবি: সংগৃহীত

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত।

নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল আজ। সাক্ষীকে জেরা করার জন্য সময় চেয়ে পরীমনির পক্ষে তিনি আবেদন করেন। আদালত শুনানির নতুন দিন ঠিক করেন। এ সময় মামলার বাদী ও র‍্যাব-১-এর ডিএডি মজিবর রহমান আদালতে হাজির ছিলেন।

এ মামলায় গত ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার অভিযুক্ত তিন আসামি হলেন পরীমনি, আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেন।

গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। পরে রাজধানীর বনানী থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে মামলার বাদী র‍্যাব-১-এর ডিএডি মজিবর রহমান বলেন, গত বছরের ৪ আগস্ট দায়িত্ব পালনের সময় জানতে পারেন, বনানীর লেকভিউ এলাকার বাসায় বিপুল পরিমাণ মাদক মজুত রয়েছে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁদের নির্দেশনা মোতাবেক বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

পরীমনির বিরুদ্ধে মামলার দুই মাসের মাথায় ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযোগপত্রে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গত বছরের ১৫ নভেম্বর আমলে নেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এ বদলি করা হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমনির বাসা থেকে জব্দ মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। মামলার দুই আসামি আশরাফুল ও কবিরের মাধ্যমে পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় মজুত রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমনি তাঁর গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।