শিশুদের জন্য আলাদা অধিদপ্তর করা হবে: আইনমন্ত্রী

বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ অন্য অতিথিরাছবি: সংগৃহীত

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শিশুদের জন্য আলাদা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে যত দ্রুত সম্ভব, শিশুদের জন্য আলাদা অধিদপ্তর করা হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী। তিনি এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন। ওয়ার্ল্ড ভিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, শিশুদের সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য সরকারের বিদ্যমান আইনে শিশুদের বয়সসংক্রান্ত যা যা পরিবর্তন প্রয়োজন, সরকার তার বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

সংসদ সদস্য ও আইনজীবী শামীম হায়দার পাটোয়ারীর নেতৃত্বে ওয়ার্ল্ড ভিশন সম্প্রতি শিশুর সুরক্ষায় বাংলাদেশে প্রচলিত আইনগুলো পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করেছে। বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে এই বিশ্লেষণের ফলাফল তুলে ধরা হয়।

আইনগুলোর পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণে দেখানো হয়েছে, বিদ্যমান বিভিন্ন আইনে শিশুর বয়স নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন সংজ্ঞা, যা শিশুর সুরক্ষা ও উন্নয়নে জটিলতার সৃষ্টি করছে। তাই শিশুদের জন্য প্রচলিত আইন ও নীতিমালাগুলোর সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড ভিশন আইনগত সীমাবদ্ধতা উত্তরণে ও আইনের সঠিক বাস্তবায়নের জন্য কিছু দিকনির্দেশনাও দিয়েছে। শিশুদের সর্বোত্তম কল্যাণে ওয়ার্ল্ড ভিশন প্রস্তাবিত সুপারিশসমূহ সরকারকে বিবেচনা করার অনুরোধও জানানো হয়।

ওয়ার্ল্ড ভিশনের পরিচালক টনি মাইকেল অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিশু অধিকারবিষয়ক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।