ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের প্রতি সমর্থন, গাজায় আগ্রাসন বন্ধের দাবি

ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন করেন সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীরা। ঢাকা, ২৬ ফেব্রুয়ারিছবি: প্রথম আলো

ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে গাজায় উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। গাজায় নিপীড়ন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার সাংবাদিকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসে বাংলাদেশের সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীরা এ দাবি জানান।

আজ সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারা মোড়ে সংবাদকর্মী ও অধিকারকর্মীরা ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের সমর্থনে ‘১ মিনিট নীরবতা’ কর্মসূচি পালন করেন। প্যালেস্টানিয়ান জার্নালিস্টস সিন্ডিকেট, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস, ফেডারেশন অব আরব জার্নালিস্টস এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো আজকের দিনটিকে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস ঘোষণা করেছে। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সংবাদকর্মী, অধিকারকর্মীদের হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডসহ ফিলিস্তিনে নিহত সাংবাদিকদের নাম লেখা কাগজ ছিল।

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বলেন, ‘বিশ্বকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ফিলিস্তিনিরা একা না, আমরা প্রত্যেকে তাদের সঙ্গে আছি। যে নৃশংস গণহত্যা হচ্ছে তার প্রতিবাদ সবাই করছে। পাশ্চাত্যের কিছু দেশ গাদ্দারি করছে। মুসলিম কিছু দেশও গাদ্দারি করছে।’

সংগীতশিল্পী ও অধিকারকর্মী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান বলেন, যেখানে অন্যায় হবে সেখানে প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিবাদকে মহৎ কাজ নয়, স্বাভাবিক আচরণ হিসেবে মনে করতে হবে। প্রতিবাদকে স্বাভাবিক সংস্কৃতিতে পরিণত করতে হবে। একজন মানুষও যদি দাঁড়ায়, সেটাও প্রতিবাদ। যারা মানবতার ঝান্ডাধারী বলে পরিচিত, তারা সবচেয়ে বেশি জঙ্গিপনা করে পার পেয়ে যাচ্ছে। কারণ, মানুষ আসলে প্রতিবাদে যায় না। মানুষের জন্য মানুষকে দাঁড়াতে হবে।

কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সাংবাদিক ও গবেষক সায়দিয়া গুলরুখ গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানান।

মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজায় ১৩২ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। সাংবাদিকদের অধিকার ও সুরক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের (সিপিজে) ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালে বিশ্বে ৯৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৭২ জনই ফিলিস্তিনি সাংবাদিক।