মেট্রোরেলের ছাদে কিশোর উঠে পড়া স্যাবোটাজ কি না, তদন্ত চলছে: ডিএমটিসিএল

মেট্রোরেলের ছাদে উঠে পড়া একজন নেমে আসছেন। রোববার রাতে, ঢাকার সচিবালয় স্টেশনেছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

মেট্রোরেলের ছাদে কিশোর উঠে পড়ার ঘটনা ‘স্যাবোটাজ’ কিনা তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে দেখছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ছাদে ওঠার ঘটনায় একজনকে পাওয়া গেলেও আরও কেউ সঙ্গে ছিল কি না—তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে।

আজ সোমবার সকালে উত্তরার দিয়াবাড়িতে ডিএমটিসিএলের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির মাসিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন

নিরাপত্তা বাড়াতে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোর নিচে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও জানান ফারুক আহমেদ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এতে কোনো ঘটনার উৎস বোঝা যাবে। স্যাবোটাজ আছে কি না-সেটাও বোঝা যাবে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ
ছবি: প্রথম আলো

ফারুক আহমেদ বলেন, একটা ছেলে দরজা দিয়ে প্রবেশ না করে কোনো একটি জায়গা দিয়ে ছাদে উঠে গিয়েছে। তার উদ্দেশ্য কী ছিল, সেটা জানা যায়নি। ছেলেটি যে বিদ্যুতায়িত হয়নি এটিই সৌভাগ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ডিএমটিসিএলের এমডি আরও জানান, মেট্রোরেলের লাইনের ওপর গত সপ্তাহে ড্রোন ফেলা হয়েছিল। গত কিছুদিনে সব মিলিয়ে সাতটা ককটেল পাওয়া গেছে।

গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে রাজধানীর সচিবালয় রেলস্টেশনে মেট্রোরেলের দুই কোচের মাঝখান দিয়ে এক কিশোর ছাদে উঠে পড়ে। এতে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর রাতে আর ট্রেন চালু হয়নি।

আরও পড়ুন

তবে মেট্রোরেলের ছাদে ঠিক কতজন উঠেছিল—তা এখনো নিশ্চিত নয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, কয়জন ছিল, এটা এখনো জানা যায়নি। এখনো আমরা বের করতে পারিনি। কারণ, কয়েকজন যাত্রী দুজনের কথা বলেছিলেন। এ জন্য গতকাল ও আজ ভোরে সুইপিং ট্রেন চালিয়ে দেখা হয়েছে, আর কেউ আছে কিনা।

ফারুক আহমেদ জানান, মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পথচারী নিহত হওয়ার ঘটনার পরে ১০ শতাংশ যাত্রী কমেছে। তিনি বলেন, ওই ঘটনার আগে প্রতিদিন ৪ লাখ ৬০ হাজারের বেশি যাত্রী মেট্রোরেল ব্যবহার করতেন। ঘটনার পরে সেটি কমে চার লাখের আশপাশে এসেছে।