মেট্রোরেলের আরও দুই স্টেশন চালু হচ্ছে ১৩ ডিসেম্বর

মেট্রোরেলফাইল ছবি

মেট্রোরেলের আরও দুটি স্টেশন চালু হতে যাচ্ছে ১৩ ডিসেম্বর। ওই দিন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজয় সরণি স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠানামা করতে পারবেন।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক। রাজধানীর ইস্কাটনে কোম্পানির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এম এ এন সিদ্দিক বলেন, ‘আগারগাঁও-মতিঝিলের মধ্যে মেট্রোরেল চালুর সময় পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সব স্টেশন চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ ডিসেম্বর থেকে আমরা দুটি নতুন স্টেশন চালু করতে যাচ্ছি। স্টেশন দুটি হলো বিজয় সরণি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ওই দিন থেকে এই দুটি স্টেশনে ট্রেনগুলো যাওয়া এবং আসার পথে যাত্রাবিরতি দেবে। তবে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে ট্রেন চলাচলের সময়সূচিতে আপাতত কোনো পরিবর্তন আসছে না।’

ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, ‘এরপর আরও দুটি স্টেশন চালু করা বাকি থাকবে। এগুলো হচ্ছে কারওয়ান বাজার, আরেকটি শাহবাগ। এ দুটি স্টেশন চালুর পর উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনের সবগুলো চালু হবে। তখন পুরোদমে মেট্রোরেল চলাচল করতে পারবে।’

উত্তরা-মতিঝিল-কমলাপুরের মধ্যে নির্মাণাধীন মেট্রোরেল লাইন-৬–এর উত্তরা-আগারগাঁও অংশ গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয় পরদিন থেকে। বর্তমানে সকাল আটটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত এ অংশে ট্রেন চলাচল করছে। অন্যদিকে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ গত ৪ নভেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে এ অংশে সকাল ৮টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করছে। মতিঝিল ও আগারগাঁওয়ের পাশাপাশি ট্রেনগুলো যাত্রাবিরতি দিচ্ছে ফার্মগেট স্টেশনে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, বর্তমানে প্রতিদিন এক লাখের বেশি মানুষ মেট্রোরেলে ভ্রমণ করছেন। আর ট্রেন চলাচল শুরুর পর থেকে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছেন ১ কোটি ৫১ লাখ যাত্রী। মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরুর পর থেকে যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান তিনি।

এদিকে মেট্রোরেলের এই লাইন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এই অংশের নির্মাণকাজের অগ্রগতি ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। এ বিষয়ে এম এ এন সিদ্দিক বলেন, ‘২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরুর লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।’