তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে ‘পেট্রলবোমা’ নিক্ষেপের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি, হামলাকারীকে খুঁজছে পুলিশ
রাজধানীর তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে ‘পেট্রলবোমা’ নিক্ষেপের ঘটনায় আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত মামলা হয়নি। এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক খান বলেছেন, হামলাকারীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে ও আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আজ থানায় মামলা করা হবে বলেও তিনি জানান।
ঘটনাস্থল থেকে আটক তিনজন ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। ওসি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, গতকাল যখন পূজামণ্ডপকে লক্ষ্য করে কিছু একটা ছুড়েছেন, সে সময় সেখানে বিচ্ছিন্ন কিছু ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাস্থল থেকে কেরোসিনভর্তি একটা বোতল জব্দ করা হয়েছে।’
হামলার ঘটনায় আহত পাঁচজনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে একটি ‘পেট্রলবোমা’ নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। সেটিতে সামান্য আগুন ধরলেও কেউ হতাহত হননি। কালো হয়ে যাওয়া সলতেসহ পেট্রলভর্তি কাচের বোতলটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় লোকজন বলছেন, পূজামণ্ডপের পাশের একটি গলি থেকে কয়েকজন যুবক পূজার মঞ্চ লক্ষ্য করে একটি বোতল ছুড়ে মারেন। স্বেচ্ছাসেবকেরা হামলাকারীদের ধরতে গেলে তাঁরা ছুরিকাঘাত করেন। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
ছুরিকাঘাতে আহত ব্যক্তিরা হলেন দীপ্ত দে (২৬), ঝন্টু ধর (৫০), খোকন ধর (৪০), সাগর ঘোষ (২৬) ও মো. রমিজ উদ্দিন (৩০)। তাঁরা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর এ ঘটনায় আটক তিনজন হলেন গাইবান্ধার আকাশ (২৩), পটুয়াখালীর মো. হৃদয় (২৩) ও নোয়াখালীর মো. জীবন (১৯)। তাঁরা কোতোয়ালি থানা হেফাজতে আছেন।