ইফতার করতে ৩০০ টাকা দিয়েছিলেন একজন, তা দিয়ে মাংস কিনলেন তিনি

রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ার লুকাসের মোড়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ ভ্যান থেকে পণ্য বিক্রি চলছে। ২৯ মার্চছবি: তানভীর আহম্মেদ

মানুষের বাসাবাড়িতে কাজ করেন শিল্পী। যাঁদের বাসায় কাজ করেন, তাঁরা কয়েক দিন আগে ৩০০ টাকা দিয়েছিলেন ইফতার করার জন্য। সেই টাকা দিয়ে আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ার লুকাসের মোড়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ ভ্যান থেকে এক কেজি ব্রয়লার মুরগির (চামড়াছাড়া) মাংস এবং এক লিটার দুধ কেনেন তিনি।

এই মাংস ও মুরগি কিনতে তাঁর খরচ হয়েছে ৩৩০ টাকা। ইফতার করার জন্য যে টাকা পেয়েছিলেন, তার সঙ্গে আরও ৩০ টাকা যোগ করে এসব পণ্য কেনেন শিল্পী।

পশ্চিম নাখালপাড়াসংলগ্ন শাহিনবাগ এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকেন শিল্পী। তাঁর স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ বছর আগে পা হারান। তার পর থেকে তেমন কিছু করতে পারেন না তিনি। বাবার অসুস্থতার পর থেকে বড় ছেলে মোটরসাইকেলের শোরুমে কাজ করে। এক মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে এবং আরেক ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।

শিল্পী যখন মুরগি ও দুধ নিয়ে লাইন থেকে বের হন, তখন তাঁর দ্বিতীয় শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে এসে খুশিতে পণ্যগুলো মায়ের কাছ থেকে হাতে নেয়।

শিল্পী জানান, রোজার শুরুর দিকে একবার ব্রয়লার কিনেছিলেন। তারপর আজকে আবার কিনলেন।

পবিত্র রমজান উপলক্ষে রাজধানীর ২৫টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

লুকাস মোড়ে আসা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এই ভ্যানে আজ গরুর মাংস ১২০ কেজি, খাসির মাংস ৮ কেজি, ব্রয়লার (চামড়াছাড়া) ৫০ কেজি, ডিম ২ হাজার ৭০০টি এবং দুধ ৩০০ লিটার আনা হয়েছে।

আজ সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে এসব পণ্য বিক্রি শুরু করে এই ভ্যান।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ ভ্যানগুলোতে গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি, ড্রেসড ব্রয়লার ২৫০ টাকা কেজি, ১০০ টাকা ডজন ডিম এবং ৮০ টাকা লিটার দুধ বিক্রি করা হচ্ছে।