শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করলেন নিহত শিক্ষার্থী মাহামুদুরের বাবা

মাহামুদুর রহমানছবি: পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থী মাহামুদুর রহমান সৈকতের (১৯) মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে। সৈকতের বাবা মো. মাহাবুবের রহমান গতকাল রোববার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলাটি করেন।

সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন মাহামুদুর রহমান সৈকত। ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডের মাথায় (মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের দিকে) সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, তেজগাঁও জোনের সাবেক উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক, মোহাম্মদপুর জোনের সাবেক এডিসি রওশানুল হক সৈকত, মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার শহিদুল হক এবং মিজানুর রহমান, মোহাম্মদপুর থানার সাবেক ওসি মাহফুজুল হক ভূঁইয়া, মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক মো. তোফাজ্জল হোসেন ও উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহরিয়ার আলম। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০–৪০ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই আনুমানিক বেলা ৩টা ৩৭ মিনিটে নূরজাহান রোডের মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাহামুদুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। মাহামুদুরকে গুলি করেছিল এসআই শাহরিয়ার আলম। মামলায় শাহরিয়ার আলম ছাড়া অন্যদের হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর ৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত ৬১টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৫৬টি হত্যা মামলা। এসব মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অনেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।