‘প্রলয় গ্যাংয়ের’ ৪ সদস্যকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত অপরাধী চক্র ‘প্রলয় গ্যাংয়ের’ ৪ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বিভিন্ন ‘অসামাজিক’ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে এই গ্যাংয়ের ১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের এক সভায় ‘প্রলয় গ্যাংয়ের’ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে মারধর করে নতুন করে আলোচনায় আসে ‘প্রলয় গ্যাং’। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়। এর আগেও নানা অপকর্মের কারণে সমালোচিত হয় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একদল শিক্ষার্থীর এই অপরাধী চক্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একজন ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগে চারজন শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, এই বিষয়ে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সাময়িকভাবে বহিষ্কৃতরা হলেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের তবারক মিয়া, অর্গানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ বিভাগের মুরসালিন ফাইয়াজ ও ফয়সাল আহমেদ ওরফে সাকিব এবং অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের জুবায়ের ইবনে হুমায়ুন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কথিত ‘প্রলয় গ্যাং’ নামের একটি গ্রুপের বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গঠিত আন্তহল তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৪৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনজন। তাঁরা চলতি বছরসহ আগামী তিন বছরের জন্য বহিষ্কৃত থাকবেন। চলতি বছরের পরীক্ষা এবং দুই বছরের জন্য পরীক্ষা দিতে পারবেন না আরও ১৬ জন। এ ছাড়া চলতি বছরের পরীক্ষা এবং আগামী ১ বছর পরীক্ষা দিতে পারবেন না আরও ২৮ জন। বাকি দুজন এ বছর মিডটার্ম অথবা ইনকোর্স পরীক্ষা দিতে পারবেন না।