মোটরসাইকেলে শিশুসহ তিনজন, কাভার্ড ভ্যানচাপায় নিহত ১

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

ঢাকার যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। ওই মোটরসাইকেলে শিশুসহ তিন আরোহী ছিলেন।

দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের আরেক আরোহী আহত হয়েছেন। তবে শিশুটি অক্ষত আছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম ইকবাল হোসেন (৩২)। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। আহত ব্যক্তির নাম মশিউর রহমান। তিনি ইকবালের বড় ভাই। দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছে ইকবালের তিন বছর বয়সী ছেলে সাজিদ আহমেদ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র বলছে, গতকাল রাত দেড়টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ইকবালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরীক্ষা করে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইকবালের ভাই সারোয়ার হোসেন বলেন, ইকবাল হোসেন মতিঝিল এজিবি কলোনিতে পরিবার নিয়ে থাকতেন। তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন। গতকাল শুক্রবার সকালে এজিবি কলোনির বাসা থেকে ছেলে সাজিদকে নিয়ে যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ায় আরেক ভাই মশিউর রহমানের বাসায় যান। রাতে মতিঝিলের বাসায় ফেরার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ইকবালকে মোটরসাইকেলে করে এগিয়ে দিচ্ছিলেন মশিউর।

আহত মশিউরের বক্তব্যের ভিত্তিতে সারোয়ার হোসেন বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে মূল রাস্তায় আসার পর হঠাৎ বৃষ্টি নামে। তখন যাত্রী ছাউনির সামনে মোটরসাইকেল থামান মশিউর। এ সময় পেছন থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে রাস্তার ডান পাশে ছিটকে পড়ে যান ইকবাল। তখন কাভার্ড ভ্যান তাঁকে চাপা দেয়।

ইকবাল হোসেন পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার আলতাব হোসেনের ছেলে। ছয় ভাই, চার বোনের মধ্যে ইকবাল ছিলেন চতুর্থ।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়নি। পরিবারের লিখিত আবেদনের পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।